পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হাউসে ‘গোপন বৈঠক
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
দৈনিকসিলেটডেস্ক
পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাউসে বৈঠক নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনা। ই বৈঠকে কী নিয়ে আলাপ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিনের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। কিন্তু বৈঠকের বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এই বৈঠকে কে কে অংশ নেন তাও স্পষ্ট নয়। যেখানে বৈঠক হয়েছে তার কাছে যেতে পারেননি প্রেসিডেন্ট ভবনের কর্মীরাও। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় এই বৈঠক নিয়ে তাই শুরু হয়েছে আলোচনা ও জল্পনা। কেউ বলছেন, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আলাপ হয়েছে, কেউ আবার বলছেন পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্ট ও অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট নিয়েও কথা হতে পারে। আলাপ হতে পারে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ নিয়েও। তবে এখন পর্যন্ত জানা যায়নি কিছুই।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ভবন আইওয়ান-ই-সদর এর চতুর্থ তলায় এই বৈঠকটি হয়েছে। সেসময় কেউই চতুথ তলায় প্রবেশ করতে পারেননি। এমনকি ভবনের কর্মীরাও সেখানে যেতে পারেননি।
এখন পর্যন্ত বৈঠক নিয়ে কোনো বিবৃতিতে প্রকাশ করেনি প্রেসিডেন্ট ভবন। তবে দেশটির বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারেন প্রেসিডেন্ট।
ইতোমধ্যে পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তবে সিইসি বৈঠকের ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ইলেকশন অ্যাক্ট ২০১৭ এর ৫৭ নং ধারা অনুযায়ী, নির্বাচনের তারিখ ঠিক করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও একই জবাব দেওয়া হয়েছে।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৫৮ তম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারেন। সেজন্য শুক্রবারের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া আর্মি অ্যাক্ট এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট সংশোধন নিয়েও বৈঠকে আলাপ হতে পারে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, এই সংক্রান্ত বিলে তিনি স্বাক্ষর করেননি।
আলোচনার আরেকটি বিষয় হতে পারে প্রেসিডেন্ট এর মেয়াদ। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে ড. আরিফ আলভির মেয়াদ। তবে মেয়াদ শেষে তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন কি না তেমন কেনো আভাস পাওয়া যায়নি। সংবিধান অনুযায়ী অবশ্য নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন আরিফ আলভি।
কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী রোববার চারদিনের সফরে লাহোর যাওয়ার কথা প্রেসিডেন্টের, ফিরবেন ৭ সেপ্টেম্বর।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নিবার্চনের তারিখ আগামী সপ্তাহে ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। প্রেসিডেন্ট আর নির্বাচন কমিশন যদি আলাদা তারিখ ঘোষণা করে, তবে সেটি মিমাংসা করবে সুপ্রিম কোর্ট। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে।