মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতায় মুগ্ধ ড.গোলাম রহমান
দৈনিকসিলেটডটকম
বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক চেয়ারম্যান ও আজকের পত্রিকার সম্পাদক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম গবেষক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম রহমান বলেছেন, “বিতর্ক শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতা নয়; এটি শিক্ষার্থীদের যুক্তিপূর্ণ দক্ষতা পরিমার্জিত করার, তাদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করার এবং বিভিন্ন বিষয়ের গভীর উপলব্ধি অর্জনের একটি প্ল্যাটফর্ম। তরুণ মনকে লালন করতে এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার বিকাশে বিতর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সুবিশাল ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ঘেরা প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত ক্যাম্পাস ও এখানকার শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা দেখে আমি গভীরভাবে মুগ্ধ। প্রতিষ্ঠার দু’ দশকে এ ইউনিভার্সিটির অগ্রগতি ঈর্শ্বনীয়। এখানকার নির্মল পরিবেশ বৌদ্ধিক অন্বেষণের জন্য একটি আদর্শ পটভূমি প্রদান করে। এমন সুন্দর ক্যাম্পাস এ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ড. তৌফিক রহমান চৌধুরীর শৈল্পিক মননের বহিঃপ্রকাশ। এর ইর্শ্বনীয় অগ্রগতির জন্য শিক্ষক এবং প্রশাসনের শ্রম নিষ্ঠা ও প্রচেষ্ঠা প্রশংসনীয়।“ আজ ৩ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুর ১২ টায় প্রফেসর এম হাবিবুর রহমান হলে অনুষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ক্লাব (এমইউডিসি) আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী আন্তঃবিভাগীয় সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন এমইউডিসির ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ শাফাত আহমদ। বক্তব্য রাখেন স্কুল অব সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল হক চৌধুরী, রেজিস্ট্রার তারেক ইসলাম, প্রক্টর ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, ইংরেজী বিভাগের প্রধান ড. রমা ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মাহফুজুল হাসান, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান ইমরান উদ্দিন, আইকিউএসির এডিশনাল ডাইরেক্টর দেবাশিষ রায়, এমইউডিসির প্রেসিডেন্ট মোঃ আমজাদ হোসেন, প্রমূখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আজকের সিলেট এর ব্যুরো চিফ ইয়াহিয়া মারুফ ও সিলেট প্রতিনিধি লবিব আহমেদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বিতর্কের গুরুত্ব এবং শিক্ষার্থীদের উৎসাহী সম্পৃক্ততার বিষয়ে তাঁর চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিতর্ক শুধুমাত্র একটি পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপ নয়; এটি ব্যক্তিগত বৃদ্ধির একটি হাতিয়ার, একজনের দিগন্তকে প্রসারিত করার একটি উপায় এবং একজনের যোগাযোগ দক্ষতাকে সম্মানিত করার একটি পথ। আমাদের শিক্ষার্থীদের দ্বারা প্রদর্শিত উত্সর্গ এবং উত্সাহের জন্য আমি গর্বিত। তারা মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির চেতনার উদাহরণ, যা একাডেমিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য অনন্য প্রচেষ্টা।”
বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ হয় যথাক্রমে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও ইংরেজী বিভাগ। প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম রহমান বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এর আগে ড. মোঃ গোলাম রহমান মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে পৌঁছলে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।