ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ, ৪০ শতাংশ পর্যন্ত আহতদের শরীর পুড়েছে
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
দৈনিকসিলেট ডটকম :
সিলেট নগরীর পূর্ব মিরাবাজার এলাকার বিরতি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়া ৯ জনের শরীর ১৫-৪০ ভাগ পর্যন্ত পুড়েছে বলে জানিয়েছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তিনি সমকালকে জানান, ৪৮ ঘণ্টা পর বুঝা যাবে কাদের অবস্থা গুরুতর। তবে আমরা সবাইকে সিরিয়াস হিসেবে দেখছি। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়েছে। দগ্ধদের চিকিৎসাসেবা গুরুত্ব দিয়ে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে ৭ জন কর্মচারী ও ২ জন পথচারী দগ্ধ হন। ফিলিং স্টেশনের মালিক আফতাব আহমদ লিটন সমকালকে জানান, সন্ধ্যার পর গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। ওই সময় কার্যক্রম শেষ করে সবাই পাম্প বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কমপ্রেসর কক্ষের একটি বাল্ব চেক করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর আগুন ধরেনি বলে তিনি দাবি করলেও সিলেট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলাল হোসেন সমকালকে জানিয়েছেন, খবর পেয়ে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
এদিকে আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে দেখা গেছে দগ্ধদের চিকিৎসা চলছে।
আহতরা হলেন, শাহপরান এলাকার বাসিন্দা ও পাম্প কর্মচারী মিনহাজ আহমদ, ইমন, মুহিন, শহরতলীর কোরবান টিলার রুমেল, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাওয়ের বাদল দাস, সদর উপজেলার জাঙ্গাল এলাকার তারেক আহমদ, একই এলাকার রুমান, তাহিরপুরের শ্রীপুরের রিপন মিয়া, একই গ্রামের লুৎফুর রহমান। এদের মধ্যে ৭ জনই ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী। বাকি ২ জন পথচারী বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ।
তিনি জানান, সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কমপ্রেসর কক্ষের একটি বাল্ব বিস্ফোরণের পর ৯ জন দগ্ধ হন। বিস্ফোরণের পর পাম্পের সামনের মিরাবাজার-টিলাগড় রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।
শফিক আহমদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি পাম্পের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। পাম্পে আগুন লেগে যায়। আহত কয়েকজনকে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যান।