বিশ্বনাথে বিলাতি ধনিয়া চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেক পরিবার

সমুজ আহমদ সায়মন বিশ্বনাথ থেকে :
বিলাতি ধনিয়া বা বনঢুলা সবার কাছে পরিচিত। রাধুনির চাওয়া আর তরকারী সুস্বাদু ও লোভনীয় করতে বাজারের তালিকা থেকে এটি কখনও বাদ পড়েনা।তাই দেশ-বিদেশে এ বিলাতি ধনিয়ার যেমন রয়েছে পরিচিতি তেমনি রয়েছে প্রতিটি গৃহের রাঁধুনির কাছে কদর।তাইতো সিলেটের বিশ্বনাথে এ বিলাতি ধনিয়ার চাষে যেন নিরব বিপ্লব ঘটেছে। এটি চাষে খরচ কম বলে এখানকার অনেক বেকার যুবকের সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থানের।শুধু তাই নয় এটি চাষ করে উচ্চ বাজার মুল্য ও অধিক আয়ের কারণে উপজেলায় সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দিন দিন বাড়ছে লাভজনক এ ধনিয়া চাষ।এতে বেড়ে চলেছে স্বাবলম্বী মানুষের সংখ্যা।
সরেজমিনে উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নে গেলে দেখা যায় মুন্সিরগাঁও,মনুকোপা,পালোগাও ছনকাড়ি গাও,, বেতসান্দি,পিটাকরা, ফরহাদপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মাঠে মাঠে এ বিলাতি ধনিয়া চাষ করছেন চাষীরা। কেউ আছেন ধনিয়া পরিচর্যায় কেউ আছেন পাতা সংগ্রহের কাজে,কেউ আবার রয়েছেন পাইকারদের কাছে পাতা বিক্রিতে ব্যস্ত। তাদের সাথে কথা হলে জানা যায় বিলাতি ধনিয়ার গন্ধ কড়া,ফলন ভালো।একবার বীজ বুনলে কয়েক বছর পর্যন্ত গাছ বেঁচে থাকে।ফলে একাধিক বার গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষক বলেন,আমরা বিলাতি ধনিয়া চাষ করি।এতে অনেক লাভ হয়।পাতা সংগ্রহের পর আবার একি জায়গায় বীজ বপন করি।তাই জমির বেশি প্রয়োজন হয়না।কষ্ট কম,ফলনও হয় ব্যাপক।
ছগির আলী বলেন,বিলাতি ধনিয়া চাষ করে আমরা কেবল স্বাবলম্বী হইনি।এখানকার অনেক যুবক ও নারীদের আয়ের পথ সৃষ্টি হয়েছে।প্রতি বছর ধনিয়া বিক্রি করে আমি লক্ষ টাকা আয় করে থাকি। আমি ধনিয়া চাষে সব সময় উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক পরামর্শ নিয়ে থাকি। এজন্য অন্যান্য কৃষকের চেয়ে আমার চাষ পদ্ধতি একটু ভিন্ন।