মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রোগ্রামিং অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণ
সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনোভেটরস ফোরামের আয়োজিত এমইউ প্রোগ্রামিং অলিম্পিয়াড ২০২৩ এর চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এম হাবিবুর রহমান হলে এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
পুরস্কার বিতরণী বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রথম উপাচার্য ও বর্তমানে ঢাকার ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ, রিসার্চ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি রিলেশনের পরিচালক প্রফেসর ড. ইউসুফ এম. মাহবুবুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “প্রোগ্রামিংয়ের জগতে, আপনি যদি স্বপ্ন দেখাতে সাহস করেন এবং আপনার লক্ষ্যের দিকে নিরলসভাবে কাজ করেন তবে আপনি যা অর্জন করতে পারেন তার কোন সীমা নেই। আমি এমইউ প্রোগ্রামিং অলিম্পিয়াড এ তরুণদের প্রতিভা দেখে এবং তাদের চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করতে পেরে আনন্দিত। যতদূর সম্ভব তাঁরা সীমানা ছাড়িয়ে যাক। এ অলিম্পিয়াড এর মাধ্যমে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি দেশে তথ্য প্রযুক্তি ও প্রকৌশল শিক্ষায় অনন্য নজির স্থাপন করলো।”
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, “এমইউ প্রোগ্রামিং অলিম্পিয়াড কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়; বরং উদ্ভাবন, বুদ্ধি এবং সংকল্পের একটি উদযাপন। আমরা যখন এই তরুণ প্রতিভার কৃতিত্ব স্বীকার করতে একত্রিত হই, তখন আমাদের মনে রাখা উচিত যে তাদের যাত্রা শিক্ষা এবং অধ্যবসায়ের শক্তির প্রমাণ বিশেষ। সিলেটের বিভিন্ন স্বনামধন্য স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বপ্নের বীজ বপন করা ছিল এ অলিম্পিয়াডের উদ্দেশ্য। তাদের অভাবনীয় সাড়া আমাদের অনুপ্রানিত করেছে। এবারের অলিম্পিয়াডের অভিজ্ঞতা নিয়ে আগামীতে আরো বৃহত্তর পরিসরে তা আয়োজিত হবে। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি কেবল নিজেদের ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও গবেষণায় মনোনিবেশ না করে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।”
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, রেজিস্ট্রার তারেক ইসলাম, প্রক্টর ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর চৌধুরী মোকাম্মেল ওয়াহিদ, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ফুয়াদ আহমেদ, টেকনেক্সট এর সিইও সৈয়দ রেজওয়ানুল হক রুবেল, অথল্যাবের চীফ টেকনোলজী অফিসার হিরো ইসলাম, বিডি এ্যাপসের সিলেট রিজিওয়নের কমিউনিটি এনগেজমেন্ট লিড মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন নাবিল, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক চৌধুরী নওশাদ আহমেদ, প্রভাষক নাজিয়া সুলতানা চৌধুরী, প্রভাষক রিনা পাল, ওয়াদিয়া ইকবাল চৌধুরী, মশিউর রহমান অতুল প্রমুখ।
প্রতিযোগিতায় সবগুলো সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে ১ম স্থান অধিকার করেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সানন্দা দেব, ২য় স্থান অধিকার করেন স্কলার্সহোম শাহী ঈদগাহ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী তুর্য সরকার এবং ৩য় স্থান অর্জন করেন জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তোফাজ্জল আহমেদ সানী। চতুর্থ থেকে দশম স্থান অর্জনকারীরা হলেন ক্রমান্বয়ে নাফিসা জামান, জুবায়ের আহমেদ, সুমন্ত শীর্ষ, রাজবীর আলী সিয়াম, শাহ সামিন ইয়াসার, নাবিলা বিনতে অহিদ এবং দিব্যজ্যোতি গোস্বামী সূর্য।
উল্লেখ্য, গত ১২ আগস্ট এর শুভ উদ্বোধন করেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক। সিলেটের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ১৯০ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে সি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের উপর মাসব্যাপী মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে কর্মশালা আয়োজিত হয়। সিলেট শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আনা ও কর্মশালা শেষে ঐসব পয়েন্টে পৌঁছে দেয়া হয়। কর্মশালাটি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ৭ টি অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাবে অনুষ্ঠিত হয়। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পুরো আয়োজনে স্পন্সর ছিলো সফটওয়ার কোম্পানী অথল্যাব, টেকনেক্সট এবং বিডিএ্যাপস।