চুনারুঘাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে জনবল সংকট, ভোগান্তি
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
নুর উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জ :
হবিগঞ্জের উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটে শিক্ষা দপ্তরের কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা বিরাজ করছে। শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে পড়ছে এর প্রভাব। ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র দুজন। এতে কাজ করতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে কার্যালয়টি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুনারুঘাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরে কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংকটে রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। এতে দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডে নেমে এসেছে স্থবিরতা। লোকবলের অভাবে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে নিয়মিত বিদ্যালয় পরিদর্শন ও মনিটরিং কাজ ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এ উপজেলায় শিক্ষা দপ্তরের অধীনে ১৭০ বিদ্যালয় রয়েছে।
এ দপ্তরটিতে চুনারুঘাট উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ লোকবল থাকার কথা ১২ জন। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের পদটি শূন্য, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের পদ শূন্য ৬টি, অফিস সহকারীর পদ শূন্য ৩টি, হিসাব সহকারীর পদ শূন্য ১টি এবং এমএলএসএস এর পদ শূন্য ১টি। সর্বমোট শূন্যপদের সংখ্যা ১২টি। কিন্তু চুনারুঘাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো লোকবল নিয়োগ না হওয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ দাপ্তরিক অন্যান্য কার্যক্রম সামাল দিতে হচ্ছে দুজনে । উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ রানা বদলী জনিত কারণে শূন্য হওয়া পদটি অদ্যাবধি পূরণ করা হয়নি।
বর্তমানে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আরেকজন রয়েছেন উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক। বাকি পদগুলো শূন্যই রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। এখন পর্যন্ত কোনো লোকবল নিয়োগ না হওয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ দাপ্তরিক অন্যান্য কার্যক্রম সামাল দিতে হচ্ছে দুইজনকে। ফলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তাদের পক্ষে যেমন নিয়মিত বিদ্যালয় পরিদর্শন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি ব্যাঘাত ঘটছে দাপ্তরিক কাজে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, ৬জন সহকারী শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব সামলানো অনেকটাই কঠিন। এতে করে অনেক সময় বিদ্যালয় পরিদর্শন বাধাগ্রস্ত হয়। উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক মো: নুরুল হক বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের জন্য নির্ধারিত পদের বিপরীতে কোনো লোকবল না থাকায় আমাদের সেখানে রাত দিন কাজ করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছেন। চুনারুঘাটের এক শিক্ষক নেতা বলেন, অফিসে লোকবল সংকটের কারণে আমাদের কার্যক্রম অনেক পিছিয়ে পড়েছে। শূন্য পদগুলো পুরণের বিষয়ে অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করা হলেও কোনো ফল হয়নি।