তাহিরপুরে শাহিদাবাদ বর্ডার হাটের নেই অবকাঠামো উন্নয়ন,চরম দূর্ভোগ
মেহেদী হাসান ভূঁইয়া,তাহিরপুর
ভারতীয় ও বাংলাদেশী পন্য সরকারী নীতিমালা অনুসারে ক্রয় বিক্রয়ের জন্য সীমান্ত হাট চালু হয়েছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় এলাকার শাহিদাবাদ-নালিকাটা সীমান্ত হাট। এ হাট চালু হলেও সড়ক,ছাউনি,নলকুপসহ হাটের অবকাঠামো গত কোনো উন্নয়ন হয়নি। ফলে হাটে আসা আগতরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এসব সমস্যা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন হাটের ব্যবসায়ী,ক্রেতা বিক্রেতা ও আগত দর্শনার্থীগন। সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাযায়,উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগড়ের সাহিদাবাদ ও ভারতের নালিকোটা এলাকায় সীমান্তের নো-ম্যান্সল্যান্ডে জেলার তৃতীয় সীমান্ত হাট হিসেবে উদ্বোধন হয় চলতি বছরের ২৪ মে। এই সীমান্ত হাট জমে উঠে সপ্তাহের প্রতি বুধবার। হাটে নেই সুপেয় পানি পানের ব্যবস্থা,হাটের প্রবেশ পথেও হয়নি পাকাকরণ,হাটের ভিতরেও ভারত-বাংলাদেশ দু পাশেই মাটির,পাকা না করায় বৃষ্টি হলে কাঁদায় সয়লাব হয়ে যায়।
এছাড়াও হাটের বাইরে নির্মাণ হয়নি টিকিট কাউন্টার,প্রবেশকারীদের ছাউনি,ভিআইপিদের রিফ্রেশ রুম,ওয়াস ব্লক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছাউনি। এসব কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সীমান্ত হাটের সংশ্লিষ্টরা ও হাটে আসা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। টিকেট নিতে আসা জাকির হোসেন জানান,অনেকেই হাটে যাবার জন্য অস্থায়ী টিনের ঘরে টিকিট নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রচন্ড রৌদ ও বৃষ্টির দিনেও। লাইন ও অনেক লম্বা হয়। ফলে আমাদের দূর্ভোগে শেষ নেই। লাউড়েরগড় সীমান্ত হাটে আসা ব্যবসায়ী বিল্লাল মিয়া বলেন,সীমান্ত হাটের বাইরে কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ না হওয়ায় রৌদ বৃষ্টিতে আগত শত শত মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।এছাড়াও হাটের ভেতরে সাধারণ ভাবে বাথরুম নির্মাণ হলেও হাটের বাইরে অপেক্ষমাণ মানুষজনের জন্য জরুরি স্থাপনা নির্মাণ হয়নি।
এছাড়া সীমান্ত হাটের প্রবেশপথ বা যোগাযোগ সড়কেরও উন্নয়ন নেই। হাটে মালবাহী যান ও যানবাহন চলাচলেও এসব সমস্যা নিরসন করা খুবেই প্রয়োজন। স্থানীয় বাসিন্দা জমির উদ্দিন বলেন,সীমান্ত হাটের বাইরে অবস্থানরত মানুষদের বসা ও পানি পানের ব্যবস্থা না থাকায়,বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারছে না আর বসারও সুযোগ পাচ্ছে না। ফলে প্রচন্ড গরমে ও পানি পান করতে না পেরে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পরেছে হাটে এসে।
বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন,সীমান্ত হাটের উন্নয়নে আমাদের ইউনিয়নে তেমন বরাদ্দ নেই যার ফলে সীমান্ত হাটের বাইরের অংশে যাত্রী ছাউনি ছাড়াও নানান উন্নয়ন প্রয়োজন। কিন্তু করতে পারছি না, এরপরও সাধ্যমত উন্নয়নের চেষ্টা করছি। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান,সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শাহিদাবাদসহ তিনটি সীমান্ত হাটের বাইরের অংশে দর্শনার্থীদের জন্য ছাউনি নির্মাণ,বিশুদ্ধ পানি,ওয়াস বক্ল,টিকেট কাউন্টারসহ প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন। না থাকা সবাই দুর্ভোগে আছে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলব।