নবীগঞ্জে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে শতাধিক করাত কল
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :
সরকারের অনুমোদন ছাড়াই নবীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা রয়েছে প্রায় শতাধিক স’মিলে (করাত কল)। এসব করাতকলে চলছে রমরমা অবৈধ ব্যবসা। এসব মিলে সাবাড় হচ্ছে বনজ, ফলজসহ নানা প্রজাতির গাছ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অনুমোদনহীন এসব মিল থেকে বন বিভাগের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়মিত মাসোহারা আদায় করায় সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন আইন ১৯২৭ ও তৎপ্রণীত স’মিল (লাইসেন্স) বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী কোনো স’মিল মালিক লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না। লাইসেন্স নেয়ার পর থেকে প্রতিবছর তা নবায়ন করতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ আগষ্ট) সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স’মিল (করাত কল) ঘুরে দেখা গেছে, মিল চালানোর ক্ষেত্রে সরকারের সুনির্দিষ্ট বিধান থাকলেও এ উপজেলায় এ চিত্র একেবারেই বিপরীত। এসব মিল মালিকরা ১৫-২০ বছর যাবত অনুমোদন ছাড়াই চালাচ্ছে স’মিল। লাইসেন্সবিহীন স’মিলগুলো বন্ধ করার কোনও উদ্যোগও চোখে পরেনি কিন্তু চোখ পরে নতুন করে করাত কল বসানোর চিত্র।
নবীগঞ্জ সদর,কাজির বাজার,ইনাতগঞ্জ, আউশকান্দি, বাংলাবাজার, ইমামবাড়ীসহ উপজেলার আনাছে-কানাছে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উটেছে অবৈধ করাত কল। এসব করাত কল চত্বরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মজুত করে রাখা রয়েছে। কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধারাত পর্যন্ত এসব মিলে বিরামহীন চলছে কাঠ কাটার কাজ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক করাতকল মালিক বলেন, “দীর্ঘদিন আমাদের স’মিল চলছে। অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছি এখনও অনুমোদন পাইনি। মিল যখন চালু করেছি তাতো বন্ধ রাখতে পারি না। বন বিভাগের লোকজনকে মাঝে মধ্যে উপঢৌকন দিয়ে মিল চালাচ্ছি।”
তবে সচেতন মহল মনে করেন, এভাবে সরকারের অনুমোদন বিহীন করাত কল (স’মিল) চলায় একদিকে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, বন উজাড় হচ্ছে, অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব। এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া জরুরি।