মানবিকতার শাস্তি! ড্রপ কেন! ড্রপ কেন!

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কোর্স পরীক্ষায় অনুপস্থিতির প্রতিবাদ ও আবার পরীক্ষা নেওয়ার দাবি নিয়ে বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনও মানববন্ধন চলমান রেখেছে।
মঙ্গলবার( ১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টাকা থেকে দিনব্যাপী শিক্ষা শিক্ষাভবন ‘বি’ এ মানববন্ধন চলমান রাখে তারা। জানা যায়, গত ১৬ জুলাই তাদের প্রথম সেমিস্টারের ‘গণমাধ্যম ও চলচ্চিত্র’ শিরোনামে বিএনজি-৫১৩ কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। যেটি তাদের এক সহপাঠী গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তারা কেউ এ পরীক্ষা দেয়নি।
এর আগে সহপাঠীর গুরুতর অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে বিভাগের কাছে পরীক্ষা পেছানোর আবেদন জানায় তারা। কিন্তু বিভাগ তাদের এ আবেদন নাকচ করে দেয়।পরবর্তীতে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তাদেরকে পরবর্তী ব্যাচের সঙ্গে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা রবিবার ( ১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে তারা সব ধরনের ক্লাস বর্জন করে। এদিন সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ” অমানবিক সিদ্ধান্ত মানি না, মানব না” “দাবি মোদের একটাই, পরীক্ষায় বসতে চাই”, “মানবিকতার শাস্তি, ড্রপ কেন, ড্রপ কেন” “আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে, মানতে হবে”, “ছয় মাসের বিলম্ব, পরিবারকে কী বলব”, ইত্যাদি প্রতিবাদী স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধন করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শেখ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরবো না। ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ আল্টিমেটাম শেষ হবে। এর আগে যদি কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না আসে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপে এগিয়ে যাব। আমাদের পরীক্ষা নেওয়ার দাবি প্রশাসনের মেনে নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে তাদের অবস্থান কর্মসূচির কারণ জেনেছি। এ বিষয়ে তো আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। তবে নিয়মের ভেতরে থেকে আমার যা করার তা করবো।