সুনাগরিক হতে হলে সাংস্কৃতিক চর্চার কোন বিকল্প নেই: ড. নজরুল

দৈনিকসিলেটডটকম
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. নজরুল হক চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন বিকাশে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের শুধু একাডেমিক সার্টিফিকেট অর্জন করলেই চলবেনা, সহশিক্ষা কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করতে হবে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও হিংসা-বিদ্বেষমুক্ত সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে ক্রীড়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
সুনাগরিক হতে হলে শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আর জামেয়া প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল নৈতিকতা শিক্ষার অভাব পূরণের জন্য।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা যে জ্ঞান অর্জন করছি সেটা যেন আমাদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারি। শুধু পড়া লেখায় নয়, ভাল মানুষ এবং সুনাগরিক হতে হলে খেলাধূলার এবং শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চার কোন বিকল্প নেই। এসব কর্মকান্ড উন্নত জাতি গঠনে সহায়ক ভূমিকা যেমন রাখে, তেমনি আমাদের শরীর ও মনকে সতেজ রাখে।
তিনি বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় কলেজের হলরুমের ৪র্থ তলায় শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের উদ্যোগে বালক শাখার বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী এর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র শিক্ষক মুহাম্মদ মুহিব আলী এবং প্রভাষক পিয়ার আহমদ দিপুর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দি সিলেট ইসলামিক সোসাইটির সেক্রেটারি মুহাম্মদ আব্দুস শাকুর।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহকারি প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল, কলেজ বিভাগের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম মজুমদার।
শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ৭ম শ্রেণির নাঈমুর রহমান সায়িম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ। ইসলামী সংগীত ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করে আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ মাহাদী।
এ দিকে পৃথক ভাবে অনুষ্ঠিত বালিকা বিভাগের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যাপক নাজমিন ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ঠ সমাজসেবিকা ও লেখক মাহিমা খানম হেপি।
বক্তব্য রাখেন কলেজ শাখার ইনচার্জ মোর্শেদা আক্তার, স্কুল শাখার ইনচার্জ জাকিয়া নুরী চৌধুরী প্রমুখ।