তাহিরপুরের পর্যটন স্পটে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
দৈনিকসিলেট ডটকম :
তাহিরপুরের পর্যটন স্পটগুলোতে ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত কোনো স্থান না থাকায় সেগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলা হচ্ছে। টাঙ্গুয়ার হাওর, লাকমাছড়া, নীলাদ্রি লেক, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান, বড়গুপ টিলাসহ এখানকার বিভিন্ন পর্যটনস্পট ঘুরতে আসা পর্যটকদের ফেলা ময়লা-আবর্জনায় নষ্ট হচ্ছে এখানকার পরিবেশ এবং দর্শনীয় স্থানগুলোর সৌন্দর্য।
সম্প্রতি পরিত্যক্ত ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ট্যাকেরঘাট এলাকায় নোঙর করা নৌকার চারপাশে প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম গ্লাস, খাবারের প্লেট, পানির বোতল পানিতে ভাসছে। বড়গুপ টিলার মেঘালয় ভিউপয়েন্ট এলাকাতে বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে স্তূপ করে রাখা হয়েছে একই ধরনের ময়লা-আবর্জনা। এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্লাস্টিকের বোতল, চিপস, চানাচুর, বিস্কুটের খালি প্যাকেট, পলিথিন ও ডাবের খোসা।
বড়গুপ টিলার স্থায়ী বাসিন্দা প্রত্যয় ডালবৎ সঞ্জীব জানান, এখানকার লোকজন টিলা এলাকাতে কোনো ময়লা আবর্জনা ফেলে না। বাহিরাগতদের কারণেই পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ময়লা ফেলার নির্ধারিত পয়েন্ট না থাকায় এবং পর্যটকদের সচেতনতার অভাবে এই সমস্যা হচ্ছে।
পর্যটকবাহী নৌকা হাওরতরীর সুকানি তোফাজ্জল হোসেন জানান, তাদের বোটে ময়লা ফেলার জন্য ডাস্টবিন রয়েছে। বোটে আসা পর্যটকরা সেই ঝুড়িতেই ময়লা ফেলেন। তবে অনেকে অসচেতনভাবে পানিতে কিছু ময়লা ফেলেন। সেদিকে দৃষ্টি রাখার চেষ্টা করা হয়।
ভ্রমণপিপাসু বাবরুল হাসান বাবলু জানান, শুক্র ও শনিবার হাজারো পর্যটকের সমাগম ঘটে হাওরে। শত শত নৌকার পর্যটক নোঙর করে রাত্রিযাপন করেন ট্যাকেরঘাটে। এর মধ্যে কিছু হাউসবোট বা নৌকার লোকজন ময়লা ফেলার বিষয়ে কিছুটা নিয়ম মানলেও এখন অনেকেই তা মানছেন না। যে কারণে পানিতে ময়লার ছড়াছড়ি।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আদনান জুনাইদ জানান, বৃহত্তর সিলেটের মধ্যে তাহিরপুর পর্যটকদের কাছে খুব জনপ্রিয় একটি স্থান। এ স্থানের সৌর্ন্দয ধরে রাখতে পর্যটকদেরই প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে।
ইউএনও সুপ্রভাত চাকমা জানান, তাহিরপুরের পর্যটন স্থানগুলোর সৌন্দর্য ধরে রাখতে নৌকার মালিকদের নিয়ে কয়েক দফা সেমিনার করা হয়েছে। সেখানে তাদের পর্যটনশিল্পকে ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে ময়লা-আবর্জনা যাতে যেখানে-সেখানে ফেলা না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি নৌকাতে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা আবশ্যক করা হয়েছে। এরপরেও স্থানীয় পর্যায়ে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার পয়েন্ট করা এবং পর্যটকদের সচেতনতা বাড়াতে করণীয় সম্পর্কে ভাবা হচ্ছে।