সোমালিয়ায় ট্রাকবোমা হামলায় ১৩ জন নিহত

মধ্য সোমালিয়ায় বেলেদউইনে শহরে শনিবার একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে। একটি নিরাপত্তাচৌকির দিকে বিস্ফোরক ভর্তি ট্রাক চালিয়ে এ হামলা চালানো হয়।

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা আহমেদ ইয়ারে আদান ফোনে এএফপিকে বলেন, ‘আমরা ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি, যাদের অধিকাংশই কাছাকাছি অবস্থানকারী বেসামরিক নাগরিক। প্রায় ২০ জন আহত ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’ সোমালিয়ার বিপর্যস্ত সরকার আল-শাবাব জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিপর্যয়’-এর কথা স্বীকার করার পর এ হামলা ঘটল। মোগাদিশুতে আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থিত ভঙ্গুর সরকারকে উৎখাত করতে ইসলামপন্থী জঙ্গিরা ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্রোহ করছে। তবে শনিবারের বোমা হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি।

হামলায় আশপাশের ভবনগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে মানুষ আটকা পড়েছিল। বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসা পুলিশ কর্মকর্তা আবদুকাদির ইয়াসিন জানান, উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আহতদের উদ্ধার করছেন। হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসলীলা প্রচুর।

১০ জনের মৃত্যু ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
একটি আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ) বাহিনী ২০০৭ সালে সোমালিয়ায় ছয় মাসের ম্যান্ডেট নিয়ে মোতায়েন করা হয়। তারা এখনো সেখানেই আছে। সরকার এখন বিদেশি সেনাদের পরিকল্পিত হ্রাস তিন মাস বিলম্বিত করতে চাইছে।

জাতিসংঘের প্রস্তাবে সোমালিয়ায় আফ্রিকান ইউনিয়ন ট্রানজিশন (এটিএমআইএস) বাহিনীকে আগামী বছরের শেষ নাগাদ শূন্যে নামিয়ে সোমালি সেনাবাহিনী ও পুলিশের কাছে নিরাপত্তা হস্তান্তর করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ গত বছরের মে মাসে ক্ষমতা গ্রহণ করেন আল-শাবাবের বিরুদ্ধে ‘সর্বস্ব যুদ্ধের’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে, যারা ২০১১ সালে মোগাদিশু থেকে বিতাড়িত হয়েছিল, কিন্তু গ্রামাঞ্চলের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। সূত্র : এএফপি

ডিএস/আরএ