একজন তরুন সমাজ সেবক ইতালি প্রবাসি রুয়েল মিয়া
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের কান্দাগাও গ্রামের একজন তরুন সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করে সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে উঠেছেন। এলাকার সর্বত্রই এখন আলোচনা এই তরুন সমাজসেবক কে নিয়ে। নিজের ঘাম ঝরানোর আয়ের অর্থ দিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের দুঃখ-দূর্দশা লাঘবে কাজ করে যাচ্ছেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলার কান্দাগাও গ্রামের মৃতঃ আইয়ুব আলীর ছেলে মোঃ রুয়েল মিয়া। তিনি। পড়াশোনা শেষ না করেই পারি জমান স্বপ্নের দেশ ইতালিতে, সেই সময় থেকে শুরু করে নিজের ঘাম ঝরানোর টাকা দিয়ে অসহায় গরিব মানুষ কে সাহায্য করে আসছেন। এই তরুন সমাজ সেবক ছেলেবেলা থেকেই ছিল পরোপকারী। প্রতীবেশীর দূক্ষ-দূর্দশা দেখে তার মন কেঁদে উঠতো। তিনি সবসময় ভাবতেন প্রতিবেশী অসহায় মানুষদের নিয়ে। নিজের খাবার একজন ক্ষুধার্ত মানুষের হাতে তুলে দিয়ে তিনি তৃপ্তি পেতেন। এজন্য অবশ্য ছেলে বেলায় মা-বাবার অনেক বকুনি খেতে হয়েছে তাকে। বিদেশে পাড়ি দেওয়ার পরে চিন্তা করেন সাধারণ মানুষের সেবা করার। তাই প্রতি মাসে নিজের কষ্টের কিছু টাকা জমা রাখেন সাধারণ মানুষের সেবায় বিলিয়ে দেবার জন্য।
তরুন এই সমাজ সেবক নিজ এলাকার কোন মানুষ অসুস্থ শুনলে ছুটে গিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন,আবার কারও পড়ালেখার ফি দিতে না পারলে নিজে দিয়ে আসেন, যার কারনে এলাকায় তার নাম দিয়েছেন গরিবের বন্ধু রুয়েল।
এ ব্যাপারে তরুন সমাজ সেবক মোঃ রুয়েল মিয়ার সাথে কলা হলে তিনি বলেন- মানুষ আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ),আমরা তাকে মানি ও তার দেখানো পথে চলি। আমাদের নবীও আটার বস্তা কাধে নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে খাদ্য বিলিয়ে বেড়াতেন। আমি তার অনুসারী হয়ে কেন মানুষের সেবায় এগিয়ে আসবোনা। মহান আল্লাহ আজ যেটা আমাকে দিচ্ছেন তাহা আমার একার নয়। আমার প্রতিবেশী ও এলাকার মানুষও তার দাবীদার। আমি আমার উপার্জনের অর্ধেক টাকা গরীব-দূঃখী মানুষের সেবায় ও এলাকার উন্নয়নে ব্যয় করে আসছি। আমার দ্বারা যদি অন্যের কোন উপকার হয় বা আমি সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পারি তাই হবে আমার পরোপারের পাওয়া।