চুনারুঘাটে রঞ্জন পালের দ্বিতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুর
নুর উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সভাপতি ও চুনারুঘাট বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামী রঞ্জন চন্দ্র পালের দ্বিতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় রিমান্ড শুনানি শেষে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আলিম তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর শেখ নাজমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগে প্রথম দফায় আকল মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি রঞ্জন চন্দ্র পালের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
কোর্ট ইন্সপেক্টর শেখ নাজমুল হক জানান, প্রথম দফার রিমান্ড শেষে রঞ্জুন পালের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক শরীফ রেজাউল করিম গত ৯ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে সেচ্চায় আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর শরীফ মো: রেজাউল করিম অধিকতর তদন্তের জন্য পুনরায় রিমান্ড আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১মার্চ ভোরে চুনারুঘাট শহরের বাল্লা রোডের বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদে ফজরের নামজে যাওয়ার পথে বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন আকল মিয়াকে হামলা করলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়েগেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতর বড় ছেলে এডভোকেট নাজমুল ইসলাম বকুল ঘটনার পরদিন রঞ্জন চন্দ্র পালকে প্রধান আসামি করে ৪জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন । এদিকে ঘটনার পর থেকে মামলার প্রধান আসামি রঞ্জন চন্দ্র পাল পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছর পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।নিহতর ছেলে নাজমুল ইসলাম বকুল জানান, আমার পিতা বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ চুনারুঘাট থানার একজন বিশিষ্ট মুরুব্বী হিসাবে বিভিন্ন সালিশ বিচারে বিচারকের ভূমিকা পালন করেছেন। বাজারের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মৃত চান মিয়া মহাজন তালুকদারের একটি ভুমি আসামি রঞ্জল পাল ও কুতুব আলী ভুয়া দলিল সৃষ্টি করে মৃত চান মিয়া মহাজনের মেয়ে শিরিনের দখলে থাকা ভুমি থেকে উচ্ছেদ করে দখলে যাওয়ার চেষ্টা করে আসামীরা । ভুক্তভোগী শিরিন তখন বাজারের সভাপতির আকল মিয়ার শরণাপন্ন হলে আকল মিয়ার বলিষ্ঠ ভুমিকার কারনে রঞ্জন চন্দ্র পাল ও কুতুব আলী দখলে যেতে পারেনি। এরই জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান আসামী পরিকল্পনা করে আকল মিয়াকে হত্যা করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ পিবিআই ইন্সপেক্টর শরীফ মোঃ রেজাউল করীম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রধান আসামী রঞ্জন পাল কে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল এর মধ্যে আদালত এক দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আশা করি তাকে রিমান্ডে পূনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ হত্যায় আরো যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।