মাধবপুরে টিউবওয়েল চুরির হিড়িক

নাহিদ মিয়া, মাধবপুর প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ছিঁচকে চোরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ।উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে টিউবওয়েল চুরির হিড়িক। সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় প্রতি রাতেই ঘটছে টিউবওয়েল চুরির ঘটনা।সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহে উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের অন্তত ২০টি টিউবওয়েল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ও বাজারে জনস্বার্থে বসানো এসব টিউবওয়েলের উপরের অংশ রাতের আঁধারে খুলে নিয়ে যাচ্ছে চোর চক্র। এতে ওইসব টিউবওয়েল ব্যবহারকারীদের বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনে দূর থেকে পানি আনতে হয়। ফলে তীব্র ভোগান্তিতে পড়ছে চুরি হওয়া টিউবওয়েলের মালিক এবং এলাকার আশেপাশের মানুষ। টিউবওয়েলের উপরের অংশ চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষ বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়ার আতঙ্কে ভুগছেন।
মাধবপুর উপজেলা চৌমুহনী ইউনিয়নের মনোহরপুর বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম লিটন বলেন, আমার ২টি টিউবওয়েল রাতের আঁধারে চোরেরা নিয়ে যায়। বর্তমানে আমি অনেক কষ্ট করে অন্য জায়গার টিউবওয়েল থেকে বিশুদ্ধ পানি এনে পান করি। টাকার অভাবে টিউবওয়েল কিনে লাগাতে পারিনি। একই ইউনিয়নের আলাবক্সপুর গ্রামের মাইনুল ইসলাম জুয়েল বলেন, কয়েক দিন আগে গভীর রাতে আমার টিউবওয়েলটি চুরি হয়। সেই সাথে চৌমুহনী বাজার থেকে আরও একটি টিউবওয়েল চুরি হয়।উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা ফয়সল মিয়ার জানান, কয়েক দিন আগে গভীর রাতে আমাদের বাড়ির টিউবওয়েলটি চুরি হয়। এছাড়াও চৌমুহনী ইউনিয়নের সাতপাড়া গ্রামের বিধবা লাল বানু, আ. বারিক, ফরিদ মিয়া, জুয়েল, নারায়ণ শীল, মফিজ মিয়ার এবং পার্শ্ববর্তী কমলানগর গ্রামের ডা. লাল মিয়ার টিউবওয়েল চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।চৌমুহনী ইউপি ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য আক্তার হোসেন জানান, প্রতিটি টিউবওয়েলের উপরের অংশের দাম ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। যা অনেক সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। টিউবওয়েল চুরি এভাবে বৃদ্ধি পেলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিতে পারে।
চৌমুহনী ইউপি’র চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি আইন শৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি উত্থাপন করব। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানাব।
মাধবপুর থানার ওসি রকিবুল ইসলাম খান বলেন, বিষয়টি এখনই অবহিত হলাম। এ ব্যাপারে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।