মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার আচরণে নাজেহাল শিক্ষক-কর্মচারীরা
শাহিন আহমেদ
কানাইঘাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদের ঘোষ বাণিজ্য ও রূঢ় আচরণে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন, শিক্ষক-কর্মচারীরা। তার এসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা মহা-পরিচালক মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, উপ-পরিচালক সিলেট অঞ্চল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরে পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারা অবিলম্বে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদের প্রত্যাহার এবং তাহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে নুর মোহাম্মদ যোগদানের পর থেকে শিক্ষকরা অফিসের নানা কাজ নিয়ে তার কার্যালয়ে আসলে শিক্ষকদের সাথে অশালীন কথাবার্তা ও অপমানজনক আচরণ করেন।
এমনকি বিদ্যালয় পরিদর্শনের নামে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে ৫ হাজার টাকা চাদা দাবী করেন। টাকা দিতে অপারগতা দেখালে শিক্ষকদের দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন তিনি। এছাড়াও এমপিও ভুক্তির জন্য অক্টোবরে যেসকল শিক্ষক আবেদন করেছেন তাদেরকে অফিসে ডেকে এনে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘোষ দাবী করেন। টাকা না দিলে আবেদন বাতিল করার হুমকি প্রদান করেন। নিরুপায় হয়ে অনেক শিক্ষক টাকা দিয়ে তাদের আবেদন অগ্রায়ন করলেও এনটিআরসি থেকে আগত গরীব শিক্ষকরা টাকা না দেয়ায় তাদের ফাইল বাতিল করে রাখেন। এতে উপজেলার ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন। এই দুর্নীতিবাজ অফিসারকে কানাইঘাট উপজেলা থেকে বদলী করার লক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে তারা বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষক জানিয়েছেন, তার দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা উল্লেখ করে অভিযোগ করায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ তাদের সাথে বেপরোয়া ভাবে রূঢ় আচরণ করে যাচ্ছেন। তিনি মিথ্যা প্রবাগান্ডা দিয়ে অনেকের নামে কলঙ্ক রটাচ্ছেন। এর আগে তার পূর্বের কর্মস্থল কক্সবাজারের রামু উপজেলা ও রাঙ্গামাটির বাগাইছড়ি উপজেলা থেকে ঘোষ দুর্নীতির অভিযোগে বদলী হয়েছেন তিনি। কিন্তু তার পরিবর্তনের বদলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। তার এ সকল অনিয়ম দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচারের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এ ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা মাধ্যমি শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদের সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি ক্ষেপে গিয়ে রূঢ় আচরণ করে বলেন, অনেকে তো লিখেছেন, আপনিও লিখেন, তদন্ত করেন, আমি কিছুই জানি না। উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৫ই অক্টোবর মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবীতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মহা পরিচালক বরাবরে অভিযোগ প্রেরন করেন কানাইঘাট উপজেলার সড়কের বাজার আহমদিয়া ফাযিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুস ছমি।