বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় ১৬ শিক্ষকের নামে বিভাগীয় মামলা
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সরকারি বিধিমালা অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষক কর্মস্থলে অনুপস্থিত। পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় ওই ১৬ শিক্ষকের নামে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
ওই শিক্ষকরা হলেন, কাওছার হামিদ, আফছানা খানম আন্নি, সৈয়দ ফুয়াদুস সালেহীন, শেরা আলী, নাছরিন জাহান শাহী, শামীমা বেগম, সাজিয়া খানম, শহিদুর রহমান, ইয়াছমিন বেগম, রোকশানা বেগম, শিপন সূত্রধর, রেবী বেগম, রাবিয়া বেগম, উম্মে হানিফা মিলি, ওলিউর রহমান সামি, এসএম আশা হক। তার সবাই উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ সাধারণ ৩-৪দিনের ছুটি, কেউ বা আবার চিকিৎসার জন্য দেশে বাহিরে যাবেন বলে মাসকানিক ছুটিও নেন। কিন্তু ছুটি শেষ হলেও তারা আর বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি। অনেকে আবার কোনো ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। কেন তারা পাঠদানে যোগদান করছেন না; কয়েক দফা চিঠি দিলেও তার কোনো জবাব পায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ১৬ জন শিক্ষক বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। এরমধ্যে বেশিভাগ শিক্ষকরা যুক্তরাজ্যে সপরিবারে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
সালদীঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মকবুল হোসেন বলেন, আমার বিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষকের মধ্যে দুইজন অনুপস্থিত। একজন একমাসের ছুটি নিয়েছিলেন। অপরজন বিয়ের জন্য মৌখিক ৭ দিনের ছুটি নেন। শুনেছি তারা এখন বিদেশে আছেন। দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র দাশ বলেন, গত ৪ অক্টোবর উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ১৭ জন শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার জন্য জেলা কর্মকর্তার নিকট একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জের সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুব জামান বলেন, ওই ১৭ শিক্ষকের মধ্যে ১৬ জনের বিরুদ্ধে গত ২৪ অক্টোবর বিভাগীয় মামলা হয়েছে। অপর একজনের অনুপস্থিতের দুইমাস না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা যায়নি। তবে সবার বেতন বন্ধ আছে এবং সরকারি চাকরির বিধিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।