মাধবপুরে ১০ বছর ধরে ইউনিয়ন কমপ্লেক্সে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র
নাহিদ মিয়া মাধবপুর প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নে অবস্থিত পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রটি গত ১০ বছর ধরে ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের কয়েকটি রুমে পরিচালিত হচ্ছে।পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের জন্য স্থাণীয় একজন ব্যবসায়ী ২৪ শতাংশ জমি দান করলেও তদন্ত কেন্দ্র নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেই।
২০১৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারী ছাতিয়াইনে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়।হবিগঞ্জের তৎকালীন পুলিশ সুপার কামরুল আমীন কেন্দ্রের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।ছাতিয়াইন ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের কয়েকটি রুমে কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সেখান থেকেই পরিচালিত হচ্ছে কেন্দ্রটি।একটি কক্ষে অফিস এবং অন্যান্য কক্ষগুলো পুলিশ অফিসার এবং সদস্যদের আবাসনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে মেম্বারদের জন্য নির্ধারিত কক্ষগুলোয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কার্যক্রম চালানোর কারনে মেম্বাররা বসার জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না পেয়ে সচিবের কক্ষে বসে থাকেন।এদিকে ২০১৬ সালে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নির্মানের জন্য ছাতিয়াইন বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রয়াত রাখাল চন্দ্র গোপ দুইটি পৃথক দলিল মূলে ২৪ শতাংশ জায়গা হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বরাবরে রেজিস্ট্রি করে দেন।দলিল নং ৪০২০/১৬। ৬০৬ নং দাগে ২১৮৯ খতিয়ানভুক্ত এ জমির বর্তমান বাজারমূল্য ৩০/৩৫ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন রাখাল চন্দ্র গোপের ছেলে ছাতিয়াইন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি চন্দন চন্দ্র গোপ।তিনি জানান, ‘ এলাকার মানুষের নিরাপত্তা ও মঙ্গল চিন্তা থেকে আমার বাবা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নির্মানের জন্য জমি দান করেছেন ৮ বছর আগে।এরমধ্যে এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়া দুঃখজনক।পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রটি নির্মিত হলে আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে। তবে এতো মূল্যবান একটা জায়গা জনস্বার্থে দেওয়ার পরেও কাজে না আসায় আমি হতাশ।’
ছাতিয়াইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বেলায়েত হোসেন জানান,বর্তমানে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার একজন আইসি,১ জন সাব ইন্সপেক্টর, ২ জন এএসআই ও ১০ জন কন্সটেবল সহ মোট ১৪ জন স্টাফ কর্মরত আছেন ছাতিয়াইন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রটিতে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান, ‘এখানে আবাসন সমস্যা প্রকট।তারপরও সরকারী দায়িত্ব।মানিয়ে নিতে হয় আর কি।’
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এস.এম.মুরাদ আলী জানান, ‘পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে মাটি ভারাটের জন্য বরাদ্ধ চেয়ে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছি।বরাদ্ধ আসলে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করা হবে।তবে আমাদের বিদ্যমান ২৪ শতাংশের সাথে আরো ১০ শতাংশ জায়গা দরকার তদন্ত কেন্দ্রের জন্য।