ইসলামী আন্দোলনের নতুন আলটিমেটাম
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
দৈনিক সিলেট ডট কম
আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জাতীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আলটিমেটাম দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে এই আলটিমেটাম দিয়েছেন দলটির আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম চরমোনাই পির। একইসঙ্গে বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলনে সমর্থন ঘোষণা করেন তিনি।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিরোধী দলগুলোর গ্রেফতার হওয়া সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করে ইসলামী আন্দোলনের আমির মহাসমাবেশে বলেন, সরকার দাবি না মানলে দশ তারিখের পর সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সকাল থেকেই মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকাসহ সারা দেশের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকাসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। সেখানে সকাল ১০টা থেকেই নেতারা বক্তব্য শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের ঢল নামে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
এ সময় নেতাকর্মীদের সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা গেছে। এখনো নেতাকর্মীরা ব্যানারসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন। ইতোমধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ সমাবেশস্থল।
পৌনে ১টার দিকে নামাজের জন্য সমাবেশে বক্তব্যে স্থগিত রাখা হয়। নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই জুমার নামাজ আদায় করেন। সোয়া ১ টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাটিতে চাদর, পাটি, গামছা এবং জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ আদায় করেন নেতাকর্মীরা।
‘ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে’ এই মহাসমাবেশ করছে ইসলামী আন্দোলন। এতে সভাপতিত্ব করছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হলো-
১. ১০ নভেম্বর ২০২৩-এর মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করে এবং জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সব নিবন্ধিত এবং প্রতিনিধিত্বশীল আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
২. বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক কারণে কারারুদ্ধ বিএনপিসহ সব শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৩. সরকার এসব দাবি মেনে না নিলে, আন্দোলনরত সব বিরোধীদলের সঙ্গে আলোচনা করে পরে কঠোর ও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
৪. জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং অবৈধ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর সব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করছি।
সূত্র:যুগান্তর