চুনারুঘাটে কমিউনিটি পুলিশিং ডে’তে র্যালি ও আলোচনা সভা
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার (৪ নভেম্বর ) সকাল ১১টায় এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি।
র্যালিতে অন্তত কয়েক হাজার লোক অংশ নেয়। এর আগে বেলুন উড়িয়ে পুলিশিং ডে’র উদ্বোধন করেন চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর । পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় থানা হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ-জনতা ঐক্য করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’ প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর ।
থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রাশেদুল হক এর সভাপতিত্বে কমিউনিটি পুলিশং এর সাধারণ সম্পাদক প্রনয় পালের সঞ্চালনায় আলোচনায় সভায় শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত প্রজিত কুমার দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিক, কমিউনিটি পুলিশং এর সভাপতি অ্যাডভোকেট এম আকবর হোসেন জিতু, ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান মহালদার, ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা খাতুন, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আব্দুস সামাদ, রানীগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, পাইকপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদ আলী মাষ্টার, উবাহাটা ইউপি চেয়ারম্যান এজাজ ঠাকুর, চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি জামাল হোসেন লিটন, চুনারুঘাট রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মহিদ আহমেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, চুনারুঘাট সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি খন্দকার আলাউদ্দিন সহ অনেকেই।
কমিউনিটি পুলিশিং একটি সংগঠনভিত্তিক দর্শন ও ব্যবস্থাপনা, যা জনগণকে সম্পৃক্ত করে জনগণ ও পুলিশের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সমাজে অপরাধ ভীতি হ্রাস ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা হয়। এটি একটি গণমুখী, প্রতিরোধমূলক এবং সমস্যা সমাধানমূলক পুলিশি ব্যবস্থা। কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্কুল/কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পুলিশের কাজে সহযোগিতা, অপরাধ বিরোধী সচেতনতা তৈরি, বাল্যবিবাহ রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, জঙ্গিবাদ দমন, সন্ত্রাস দমন, মাদকের কুফল, নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌতুক নিরোধ, মোবাইল ফোনের অপব্যবহার, সামাজিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। চলমান কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশ-জনগণের মিথস্ক্রিয়ার ফলে পুলিশের কাজে জনগণের আস্থা, অংশগ্রহণ, সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।