দক্ষিণা চরণ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩০১ পরিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৪ জন কৃতকার্য, ক্ষোভ
চুনারুঘাট প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার দক্ষিণাচরণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক নির্বাচনী পরীক্ষায় ৩০১ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ৪৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।
এ নিয়ে চুনারুঘাট উপজেলার সচেতন মহল ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার মান নিয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় নিয়ম অনুযায়ী এসএসসি ফাইনাল পরীক্ষার আগে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় চুনারুঘাটের দক্ষিণাচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০১জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে মাত্র ৪৪ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।এ বিষয়ে দক্ষিণাচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির শিক্ষা অনুরাগী সদস্য ও চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণাচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ে দিন দিন শিক্ষার মান পিছিয়ে পড়ছে। এর একটি কারণ হলো এখানে স্কুলটির প্রধান শিক্ষকের উদাসীনতা এবং দায়সারা ভাব মূল কারণ।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও চুনারুঘাটের বিশিষ্ট ধারাভাষ্যকার শফিউল আলম শাফি বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। চুনারুঘাট উপজেলা দক্ষিণাচরণ উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী উচ্চ বিদ্যালয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক ছাত্র-ছাত্রী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন সামাজিক সংস্কৃতি অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তাদের। তিনিও বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকে দায়সারা ভাব এবং বড় ধরনের গাফিলতির কথা বলেন।প্রধান শিক্ষিকা অভিভাবকদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচরণ করার অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উচ্চ বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সদস্য সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হুসাইন আলী রাজন বলেন, বিদ্যালয়টির শিক্ষার মান এতই নিচে যাচ্ছে যা আমাদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমি দ্রুত দক্ষিণাচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন যোগ্য প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দানের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে দক্ষিণাচরণ উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক তৈয়বা খাতুন কে ফোন দিলে তিনি গাড়িতে আছি, হবিগঞ্জ যাচ্ছি, এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।