বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফ্রান্সের

দৈনিকসিলেটডেস্ক
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ফ্রান্স। ২০১৩ সালের একটি মামলায় তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, ২০১৩ সালে সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, আসাদের নির্দেশে সরকার বিরোধীদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। সেই মামলার তদন্ত শেষে ফ্রান্স এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসাদের নামে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সিরিয়ার আরও তিন নাগরিকের বিরুদ্ধেও একই পরোয়ানা জারি হয়েছে।
বাকি তিনজনের একজন হলেন আসাদের ভাই মাহেল, তিনি সিরিয়ার এলিট ফোর্সের প্রধান। বাকি দুইজনও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে প্রচুর বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
২০১৩ সালে তাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ওঠে।
বলা হয়, তারা রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছেন। যার জেরে প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আন্তর্জাতিক আদালতে আসাদ এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা ওঠে। তেমনই এক মামলায় আসাদকে দোষী প্রমাণিত করা হয়েছে। তারপরেই তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ফ্রান্স। এটি আসাদের বিরুদ্ধে প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।
সিরিয়ার সেন্টার ফর মিডিয়া অ্যান্ড ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন এনজিও রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে আসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। এ ছাড়াও সিরিয়ান আর্কাইভ নামক একটি সংস্থাও এই অভিযোগ সামনে এনেছিল। তারই ভিত্তিতে প্যারিস আদালতে ঘটনাটির বিচার হয়। একাধিক সাক্ষী এবং তথ্য আদালতে পেশ করা হয়। শেষ পর্যন্ত আসাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
২০১৩ সালের অগাস্ট মাসে সিরিয়ার বিরোধীপক্ষের এক নেতা ইউটিউবে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি দেখান সিরিয়ার পূর্বদিকের শহর ঘোউটায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের পর গোটা এলাকার কী অবস্থা হয়েছে। বহু দেহ চারিদিকে ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ওই ভিডিওতে। যার মধ্যে বহু শিশু ছিল। ওই ভিডিও গোটা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দেয়। জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়, ভিডিও থেকে স্পষ্ট, সেখানে রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে। আসাদ সরকার যদিও প্রথম থেকেই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।