নির্বাচন ইস্যুতে প্রভাবশালী রাষ্ট্র অনধিকার চর্চা করছে: শাবি আওয়ামী বামপন্থী শিক্ষক প্যানেল

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
নির্বাচন ইস্যুতে বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন ইস্যুতে সরাসরি অনধিকার চর্চা করছে বলে মন্তব্য করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহান ‘মুক্তিযুদ্ধেও চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবন্ধ শিক্ষকবৃন্দ’র বামপন্থী প্যানেল।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) সংগঠনটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো: আখতারুল ইসলামের স্বাক্ষরিত পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, আমরা ক্ষোভের সাথে প্রত্যক্ষ করছি উল্লেখিত নির্বাচন ইস্যুতে বিশ্বের অতীব প্রভাবশালী রাষ্ট্র ও তার প্রতিনিধি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন ইস্যুতে সরাসরি অনধিকার চর্চা করছেন এবং তাদের এহেন আচরণ নির্বাচন বিরোধী মহলকে উস্কে দিচ্ছে। কূটনৈতিক শিষ্ঠাচার বহিঃর্ভূত এ জাতীয় আচরণ থেকে সংশ্লিষ্টদের সরে আসার আহবান জানাচ্ছি।
কিন্তু আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন- ২০২৪ কে সামনে রেখে বিভিন্ন দাবীতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার প্রশ্নে জনস্বীকৃত প্রধান বিরোধীদল ও তার সমমনা দলগুলো বিভিন্ন রকম আন্দোলন কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে। সাংবিধানিক কাঠামো অনুযায়ী বিগত ১৫ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষনা করেছে। আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতকরণে ছোট বড় সকল রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল ইতিবাচক ভূমিকা অনস্বীকার্য। দেশের আপামর জনসাধারণ একটি অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমূখর পরিবেশে নির্বাচন দেখতে চায়। আমরা বৈধ সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে আহবান জানাই।
প্রত্যেকটি স্বাধীন রাষ্ট্রের নির্বাচনই তার নিজের সাংবিধানিক কাঠামো ও রীতিনীতির আওতায় হওয়াই প্রাসঙ্গিক। আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিকভাবে মত প্রকাশে বা দাবী আদায়ে কর্মসূচী পালনের গ্রহণযোগ্য অনেক পন্থা আছে। জনসমাবেশ, হরতাল বা অবরোধের নামে যাত্রীবাহী বা মালবাহী গাড়ীতে বা কলকারখানা বা অন্যান্য স্থাপনায় অগ্নিসন্ত্রাস মানবিক সমাজে গ্রহণযোগ্য পন্থা হিসেবে কোনভাবেই বিবেচিত হতে পারে না। বিগত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ বিরোধী দল ও তার সমমনা দলগুলোর মহাসমাবেশের ক্ষেত্র থেকে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর দায়িত্বপালনরত একজন সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভাংচুর ও অগ্নিসন্ত্রাস চালানো, প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনে হামলা, জাতীয় গণমাধ্যম কর্মীদের পিটিয়ে আহত করার দুর্বৃত্তায়নের তীব্র নিন্দা জানাই । একইসাথে এ জাতীয় ন্যাক্কারজনক ঘটনায় দোষী সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি। লাগাতার হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচী দেশের দিনমজুর ও গরীব পরিবারগুলোর বেঁচে থাকার অন্তরায় হয়ে দাড়াঁচ্ছে। সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচী আহবানকারীদের এ বিষয়টি আমলে নেওয়ার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।