সুনামগঞ্জে বিষক্রিয়া: খামারের তিনশত হাঁসের মৃ ত্যু
দৈনিকসিলেটডটকম
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের এক হাঁস খামারীর প্রায় সাড়ে তিনশত দেশীয় হাঁসের মৃত্যু হয়েছে । শত্রুতার জেরে পতিত জমিতে বিষ প্রয়োগ করে এমন কর্মকান্ড ঘটিয়েছে শত্রুপক্ষ, বলছেন গলহা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ্য খামারী মোঃ উজ্জ্বল তালুকদার।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিন অনুসন্ধানকালে খামারী উজ্জ্বল মিয়া জানান, আমি প্রায় ২০ বছর যাবৎ হাঁস পালন করে আসছি। আমার হাঁসগুলো সবসময় স্বাভাবিক। কিন্তু আজকে আমার সব হাঁস বিষ প্রয়োগ করে মেরে দিয়েছ শত্রুরা। আমি প্রতিদিনের মতো সকাল সাতটার সময় দেশীয় একহাজার হাঁস নিয়ে রওনা হই বোয়ালার হাওরের উদ্দেশ্যে। গ্রামের পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া সাবমার্জেবল রাস্তার পার্শ্বের আমার গ্রামের দুলামিয়ার জমিতে আটকে থাকা পানিতে হাঁসগুলো নামে এবং পানি পান করে, হাওরে প্রবেশ করতে থাকে হাঁসগুলো। পানি থেকে উঠেই একেরপরএক হাঁস গুলো মারতে থাকে। আমার একএকটি হাঁসের দাম কমপক্ষে ৬শ টাকা। আমার সব শেষ। মৃত সাড়ে তিনশত হাঁসের মুল্য প্রায় দুলক্ষ দশ হাজার টাকা। সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ জামাল মিয়া জানান, সকালে আমার ভাই হাঁস খামার থেকে ছাড়ে এবং এই ক্ষেতে আসইসা হাওরে ডুকার সময় ধরফরাইয়া মরতে থাকে। আমরা দোকানে বহু মানুষ ছিলাম সবাই আইয়া দেখছি বিষয়টি। গতদু দিন আগে আমার ভাইরে না করছে যেন হাঁস নেই।
এদিকে নিলে সমস্যা আছে বলে হুমকী দিছে। ভাইয়ের হাঁসগুলোর দাম প্রায় ৬লক্ষ টাকা। আমাদের শত্রুরাই এইকাজ করেছে। আমারা এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবী করছি। জমির মালিক একইগ্রামের দুলা মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমিও সবার মুখে শুনিয়া আইছি। এদিক দিয়ে হাঁসহুলো গেছে পরে ধরপরাইয়া মরতাছে।
উজ্জ্বলের সাথে আমার কোন শত্রুতা নাই। মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ সরকার জানান, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি সকলেই কান্নাকাটি করছে। এটি অত্যান্ত দুঃখ জনক প্রাণীর উপর জেদ মিঠানো ঠিক হয়নি।আমি প্রকৃক অপরাধীর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। এবিষয়ে মধ্যনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে জানান সাবেক ইউপি সদস্য জামাল মিয়া। পরপরেই অনুসন্ধানে নামে মধ্যনগর থানা পুলিশ। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে জানান-আমরা অভিযোগে পেয়েছি। এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। প্রায় সাড়ে তিনশত মৃত হাঁস উদ্ধার করেছি।