নৌকার টিকিট পেলেন ১৩ চিকিৎসক

দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেয়েছেন ১১ চিকিৎসক। তাদের মধ্যে অনেকে বর্তমান সংসদ সদস্য ও সরকারের মন্ত্রী। একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন, পেশাজীবীদের এই মূল্যায়নের মাধ্যমে দেশের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন ঘটবে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ জনের দলীয় মনোনয়নের মধ্যে চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ঢাকা-১৯ আসনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। কুমিল্লা-৭ আসনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। সাতক্ষীরা-৩ আসনে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবং সংসদ সদস্য ডা. আ. ফ. ম রুহুল হক। টাঙ্গাইল-৩ আসনে বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খাঁন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি, সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল ও নাটোর-৪ আসনে ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোট বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর। সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। যশোর-২ (ঝিকরগাছা ও চৌগাছা) আসনে স্বনামধন্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মো. তৌহিদুজ্জামান তুহিন। হবিগঞ্জ-১ আসনে ডা. মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী। মেহেরপুর-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক সাগর ও বগুড়া-৭ আসনে ডা. মোস্তফা আলম নান্নু প্রমুখ।
চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), বাংলাদেশ মেডিকেলে অ্যাসোসিয়েশনসহ (বিএমএ) বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের অন্তত ২৫ জন চিকিৎসক আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য চেষ্টা তদবির করেছিলেন। তবে স্বাচিপ ও বিএমএ এর শীর্ষ নেতারা মনোনয়ন না পেলেও এই ১০ চিকিৎসক তাদের দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করার পর টাঙ্গাইল-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কালবেলাকে বলেন, গত চার দশক ধরে আমি পেশাজীবী রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। গুণগত রাজনীতিতে পেশাজীবীরা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন। আইনজীবী, শিক্ষক ও চিকিৎসক পেশাজীবীদের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা এদেশের রাজনীতিতে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই মূল্যায়নের কারণে রাজনীতি থাকবে রাজনীতিবিদদের হাতে। ব্যবসায়ীদের কাছে নয়। দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। তিনি আমাদের চিকিৎসকদের মনোনীত করে পেশাজীবী রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
তিনি বলেন, যেহেতু আমি দীর্ঘদিন চিকিৎসা পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাই দেশের চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসা শিক্ষার সমস্যা, দুর্বলতা জানি। আমি নির্বাচিত হলে এসব সমস্যা সমাধানে ভূমিকা পালন করব। সেইসাথে প্রধানমন্ত্রী অর্পিত দায়িত্ব পালন করে টাঙ্গাইল-৩ আসনের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করব।