মানসিক ভারসাম্যহীন লিল চন্দ্র দেশে ফিরলেন

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি
ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী মানসিক ভারসাম্যহীন শ্রী লিল চন্দ শিল(১৭), আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে (৩০ নভেম্বর) ডাউকি তামাবিল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। ব্র্যাক মাইগ্রেশান প্রোগ্রাম বাংলাদেশ, ইম্পালস এনজিও নেটওয়ার্ক ভারত, ও গৌহাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে তিনি আজ দেশে ফিরেন৷ লিল চন্দের পিতা শ্রী সিপন চন্দ বলেন, “আমার ছেলে গত দুই তিন বছর ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ, তাকে পায়ে শিকল দিয়ে বেধে রাখতে হয়। না হয় সে পালিয়ে যায়।” তিনি আরও বলেন,”গত জুলাই মাসে পায়ের শিকল খুলে সে পালিয়ে যায়, অনেক খোজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায় নি।
১৭-১৮ দিন পর একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে বলে আমার ছেলে ভারতের মেঘালয়ে আছে।” পিতা শ্রী সিপন চন্দ পেশায় একজন নাপিত, ছেলে হারিয়ে গত তিন চার মাস কাচিতে হাত দিতে পারছিলেন না, বাসায় রান্না হয় নি ঠিক মতো, উচ্চ রক্তচাপে ভোগা মা বিগত কয়েক মাস খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করছিলেন। লিল চন্দ শিল বাংলাদেশে প্রবেশ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি জানান জাফলং জিরো পয়েন্ট দিয়ে কাজের জন্য ভারতের আসামে উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আটক করেন।
আটকের সময় বয়স ১৮ এর কম হওয়ায় লিল চন্দকে আদালতের নির্দেশে নিউ শিলং বয়েজ অবজারভেশন হোমে আটক রাখা হয়। সেখানকার অফিসার জোসেফাইন সুমার বলেন ” লিল চন্দ শিল মানসিকভাবে সুস্থ নন, তিনি আমাদের কেন্দ্র থেকেও একবার পালিয়ে গিয়েছিলেন। আজ আদালতের নির্দেশে আমরা তাকে বাংলাদেশে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলাম।” হস্তান্তরের সময় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে লিল চন্দকে জরুরী সহায়তা হিসেবে খাবার, জরুরী কাউন্সেলিং সেবা ও অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়।
হস্তান্তর প্রক্রিয়ার এসময় তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ রনু মিয়া, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের এম আর এস সি কোর্ডিনেটর শুভাশীষ দেবনাথ ও ইম্পাললের পক্ষ থেকে জোনাথান উপস্থিত ছিলেন।