সুনামগঞ্জ জেলায় মাদকের থাবার মুলহোতাকে খুঁজে পাওয়া সহজ ছিলো। আমার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রশাসনের নজরে আসে সুনামগঞ্জ মাদকের রমরমা ব্যবসা। অবশেষে সকল তথ্য প্রমান পাওয়ার পর গত (১ আগষ্ট) সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সুনামগঞ্জ জেলার জামায়াতের আমীর এডভোকেট শামস উদ্দিন এর কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসার আড়ালে রমরমা মাদক ব্যবসার গোমড় প্রকাশ্যে আসে এবং পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদক ও অস্ত্রসহ জামায়াতের আমীর এডভোকেট শামস উদ্দিন ও তার ৫ সহযোগিকে গ্রেফতার করে। আরে কুচক্রী ,জামায়াতের আমীর এডভোকেট শামস উদ্দিন বিশেষ সহযোগি সুনামগঞ্জ জেলা শিবির সভাপতি নাজমুল হক খবর পেয়েই আত্মগোপনে চলে যায় বলে তাকে নাগালে পাওয়া যায়নি।
কিন্তু অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, জামায়াতের আমীর এডভোকেট শামস উদ্দিন উপরেও আরো কেউ আছে যার ক্ষমতার কারনে সে ধরা ছোয়ার বাইরে। সন্দেহের তীর চলে যায় পৌর মেয়র নাদের বখত দিকে।পূর্বেও সে অনেক কুর্কীর্তির সাথে জড়িত ছিলো বলে লোকমুখে প্রচলিত আছে। কিন্তু প্রতিবারই সে কোন না কোন ভাবে পার পেয়ে যায়। এবার আমার সন্দেহ আরো বেশি নাদের বখত দিকে পোক্ত হওয়ার অন্যতম কারন হলো, জামায়াতের আমীর এডভোকেট শামস উদ্দিন বিপুল মাদক ও অস্ত্রসহ হাতেনাতে ধরা পরার পর এবং উপযুক্ত প্রমান থাকার পরেও (১ আগষ্ট) পৌর মেয়র নাদের বখত সরাসরি হস্তক্ষেপে এত তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া। সোর্স থেকে খবর পাই পৌর মেয়র নাদের বখত তার জামিনের জন্য কথা বলেছে।
এতে আর বলার অবকাশ নেই যে নাটেরগুরু আর কেউ নয় স্বয়ং পৌর মেয়র নাদের বখত ই। তা না হলে এত জটিল একটি মামলা হতে এত সহজে জামিন কখনোই সম্ভব নয়। কিভাবে মাদকের থাবা থেকে মুক্তি পাবে সুনামগঞ্জ, যেখানে সরকারি ক্ষমতাসীন লোকের হাতে জিম্মি মানুষের জীবন। মাদকের মরন থাবা থেকে বাঁচতে হলে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এসব দূর্নীতিবাজ মাদককারবারিদের বিরুদ্ধে।