জেলা পর্যায় স্কোর কার্ড শেয়ারিং মিটিং

দৈনিকসিলেটডটকম
সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যলয়ের সহকারি পরিচালক তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, কৈশরকালে সন্তানদের প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পরিবারের মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তাই নিজেদের স্বাস্থ্য সেবা নিতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কিশোর-কিশোরীদের আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও রিলায়েন্ট উইমেন ডেভেলপমেন্ট অগানাইজেশন (আর.ডব্লিউ.ডি.ও) প্রতি ছয় মাস পর পর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মান উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন। তাদের এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের সেবা কেন্দ্রের মান উন্নয়ন হয়েছে এবং কিশোর-কিশোরীদের পরিবেশ বান্ধব সেবা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা গ্রহনকারী বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কিশোরী-কিশোরী সেবা গ্রহন করতে আগ্রহী হচ্ছে। তাদের এই মহতি উদ্যোগে জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে খাদিমনগর ইউনিয়নের দলাইপাড়া এলাকায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় ও রিলায়েন্ট উইমেন ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইজেশন এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলা পর্যায় স্কোর কার্ড শেয়ারিং মিটিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আর ডাব্লিউ ডিও ওয়াই মুভস প্রকল্প কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম রশিদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল মনসুর আসজাদ, মেডিকেল অফিসার এমসিএইচএফপি ডা. মো. সাদিক মিয়া, ৪নং খাদিমপাড়া ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য সেলিনা আক্তার, ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আল আমিন, দলাইপাড়া পাসকোপ এর নির্বাহী পরিচালক গৌরাঙ্গ পাত্র, খাদিমপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের এফডব্লিউভি রঞ্জিতা রানী, আর ডব্ল্উি ডিও এর এ্যাডমিন এন্ড একাউন্স অফিসার মো. মহসিন রেজা, লাক্কাতোরা চা-বাগান এনসিটিএফ এর ভলান্টিয়ার মরিয়ম সরকার প্রমুখ।
এছাড়া স্কোর কার্ডে অংশ গ্রহনকারী কিশোর-কিশোরী এবং অভিভাবক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।