পিঠা উৎসব আমাদের আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি: ড. কবির চৌধুরী
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
দৈনিকসিলেটডটকম
সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য ও হাফিজ মজুমদার ট্রাস্ট্র একাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কবির এইচ চৌধুরী বলেছেন, শীতের সকালের কুয়াশা কিংবা সন্ধ্যার ঠান্ডা বাতাসে গরম পিঠার সুগন্ধি ধোঁয়ায় মন ব্যাকুল হয়ে যায়। সরষে বা ধনে পাতার বাটা অথবা শুঁটকির ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা মুখে দিলে শরীরের শীত অনেকটাই কমে যায়। তাই বলা যায়, পিঠা ছাড়া শীত সত্যিই জমে না।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় সিলেট নগরীর কুমারপাড়াস্থ মালঞ্চ কমিটিউনিটি সেন্টারে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেট উইমেন্স মডেল কলেজের উদ্যোগে দিনব্যাপী ৬ষ্ঠ ইএসডি ফাউন্ডেশন শীতকালীন পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, পিঠা খাওয়ার দাওয়াতের প্রচলন এ দেশের গ্রাম্য সংস্কৃতির অংশ। শীতের সকালে এক বাড়িতে পিঠা বানিয়ে পাড়ার মানুষকে খাওয়ানো এখনো গ্রামের রীতি। আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত দিয়ে কিংবা জামাই আপ্যায়নে পিঠার বেশ কদর রয়েছে বাংলাদেশে। নতুন প্রজন্মের কাছে পিঠাপুলির সেই সংস্কৃতিকে তুলে ধরতেই এ ধরনের আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে শিক্ষার্থীরাও পিঠা তৈরির মতো কঠিন কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করছে।
তিনি এ ধরনের আয়োজনে সিলেট উইমেন্স মডেল কলেজকে ধন্যবাদ জানান এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য তুলে ধরতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
ইএলসি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ লস্কর এর সভাপতিত্বে ও হেলাল হামাম এবং তৌফিক রাসেল এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, রোটারী ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩২৮৮ এর সাবেক জেলা গভর্ণর ডা. মনজুরুল হক চৌধুরী, কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াদুদ তাপাদার, আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা মাজেদ আহমদ, সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিজিত পালন প্রমুখ।
২য় অধিবেশনে বিকেল ৩টায় বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দিপ কুমার সিংহ।