প্রান্তিক কৃষকের পাশে সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
পতিত জমিতে গম, ভুট্টা সরিষা, বাদাম, মিষ্টি আলো সহ বিভিন্ন ফলনে প্রান্তিক কৃষকদের পাশে থেকে সর্বদা দায়িত্বে অনড় রয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম। জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রান্তিক ও সীমান্তে বালির আগ্রাসনে ভরাট হওয়া জমি আবাদযোগ্য করে তুলতে কৃষকদের পাশে রয়েছেন চৌকস এই কৃষিবিদ।
কৃষকদের চাষাবাদে উৎসাহী করে তুলতে জেলার সর্বত্র সভা, বৈঠক করে আসছেন তিনি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে পাওয়া তথ্যে, চলতি রবি মৌসুমে (২০২৩-২৪) অর্থবছরে সরিষা আবাদ এলাকা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কল্যাণ তহবিল থেকে কৃষকদের কল্যাণে বরাদ্দ পায় কৃষি বিভাগ। প্রাপ্ত অর্থে দুই হাজার ৫শ জন কৃষককে জনপ্রতি এককেজি করে সরিষা বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া গন, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩শ জন চাষীকে ২০ কেজি গম বীজ, ১০ কেজি ডিএফি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। ৬৪০ জন ভুট্টা চাষীকে জনপ্রতি দুই কেজি ভুট্টা বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার, ৫ হাজার সরিষা চাষীকে জনপ্রতি এক কেজি সরিষা বীজ,১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার ৯৬০ জন সূর্যমুখী চাষীকে এক কেজি সূর্যমুখী বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ১০ কেজি এমওপি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া চারশ ৪০ জন চিনাবাদাম চাষীকে ১০ কেজি চিনাবাদাম, ১০ কেজি ডিএপি এবং ৫ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রণোদনার আওতায় জেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ে ৩৫ হাজার কৃষকের মাঝে জনপ্রতি দুই কেজি হারে বোরো হাইব্রিড বীজ ধান এবং ৫০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ৫ কেজি হারে বোরো উফশী বীজ ধান ১০ কেজি করে ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ সদর ও ছাতক উপজেলায় দুইটি ৫০ একর (১৫০ বিঘা) করে বিনামূল্যে সমলয় চাষের প্রাপ্ত বরাদ্দের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব ইবাদত মনে করি। তাই প্রান্তিক কৃষকগণ যেন সরকারি বরাদ্দ পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন সেদিকে আমার নজরদারি রয়েছে।