সিলেট-১ আসনে সবার পছন্দ ড. মোমেন
![](https://dainiksylhet.com/files/uploads/2023/12/muhit.jpg)
মুহিত চৌধুরী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সিলেট ১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী হলেও সিলেটে দলমত নির্বিশেষে তিনি সকলের প্রছন্দের একজন প্রার্থী। সিলেটের মানুষ গত পাঁচ বছর তাঁর মেধা যোগ্যতা এবং কর্ম দক্ষতা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। সিলেটকে তিনি একটি অনন্য অবস্থানে নিয়ে গেছেন। সিলেটকে নিয়ে রয়েছে তাঁর রাশি রাশি স্বপ্ন ।
সিলেট ১ আসনের দুই উল্লেখযোগ্য প্রার্থী ইতোমধ্যে ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে সমর্থন দিয়ে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ এবং জাতীয় পার্টির সিলেট মহানগর জাপার আহবায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল।
তবে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল এবং সাধারণ মানুষের কাছে অপরিচিত কয়েকটি দল ড. মোমেনের এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। তারা হলেন,সম্মিলিত মুক্তিজোটের প্রার্থী আব্দুল বাসিত,এনপিপির প্রার্থী ইউসুফ আহমদ, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ফয়জুল হক,বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. সোহেল আহমদ চৌধুরী।
মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ এবং জাতীয় পার্টির সিলেট মহানগর জাপার আহবায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবেগঘন বার্তায় আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সিলেটের সাধারণ মানুষ ড. মোমেনকে আবার সিলেট ১ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায়। তার কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ড. মোমেন সিলেটের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় যে উন্নয়ন সাধন করেছেন অতীতে এমটি আর কেউ করেনি। সিলেটের উন্নয়নে তাঁর নেয়া অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও বেশ কিছু মেগা প্রকল্প এখনও চলমান রয়েছে। যা শেষ হতে আরো বছর দুয়েক লাগতে পারে।
সিলেটের যে সকল উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে প্রিয় সেগুলো হলো:
১. ঢাকা-সিলেট ৬ লেন।
এটি তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেছে। প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
২. সিলেট-বাদাঘাট-বিমানবন্দর সড়ক ৪ লেনে উন্নিতকরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
৩.সিলেট-সুনামগঞ্জ রোডে আম্বরখানা -টুকেরবাজার সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
৪.সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চৌকিদেখী রাস্তা ৪ লেন করার প্রকল্প গ্রহন।
৫.সিলেট-তামাবিল সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলমান রয়েছে।
৬.সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়নে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে অবকাঠামো এবং সম্প্রসারণের কাজ চলমান রয়েছে।
৭.স্মার্ট সিলেটের অংশ হিসাবে সিলেট শহর থেকে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রস্তাব ইতোমধ্যে মাস্টারপ্ল্যানে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।
৮. ঢাকা-সিলেট ও সিলেট চট্রগ্রাম রেলপথে যাতায়াত সহজ ও উন্নত করার লক্ষে ডাবল লাইন তৈরী ও উন্নত বগি সংযোজনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
৯.দীর্ঘ ৫০ বছর পর সুরমা নদীর ড্রেজিং এর কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া সিলেটে আরও ৭৪টি নদী খনন ও তীর সংরক্ষণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে
১০.নগরীর যানজট নিরসনে সুরমা নদীর উপর ক্বীনব্রিজের পাশে আরেকটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১১.সিলেটে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং প্রায় ৮০ একর জায়গায় স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণ কার্যক্রম চলছে।
১২.সিলেটবাসীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে।
১৩.সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ তলা বিশিষ্ট আধুনিক আউটডোর কমপ্লেক্স স্থাপন।
১৪.সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা অধিকতর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১৮ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে।
১৯.তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সিলেট সিটির উন্নয়ন, সৌন্দর্যবর্ধন ও আধুনিকায়ন ১২২৮ কোটি টাকায় বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দিঘি, খাল পুনরুদ্ধার করে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
২০. সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল
করোনা মহামারী মোকাবেলায় শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে প্রয়োজনীয় আইসিইউ, হাই ফ্লো
অক্সিজেন সাপ্লাইসহ সকল সুযোগ সুবিধা যোগ করায় নতুনরূপে দেশসেরা বিশেষায়িত কোভিড হাসপাতালের কাতারে পৌঁছেছে।
২১.নগরবাসীর কবরস্থানের সঙ্কট নিরসনে হযরত মানিকপীর রহ. কবরস্থান, ৩০০০ এর বেশি কবর দেয়ার উপযোগী করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
২২. নগরীর বন্দরবাজারে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের লক্ষ্যে ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
২৩. পিছিয়ে পড়া চা শ্রমিকদের সন্তানদের সুশিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে লাক্কাতুরায় আধুনিক সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
২৪.সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আধুনিকায়নের অংশ হিসাবে ইতোমধ্যে ৬টি ই-গেইট স্থাপন করা হয়েছে।
২৫. ঐতিহ্যবাহী সিলেট এম সি কলেজে ৫ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক কাম পরীক্ষা ভবন, ১০০ সিট বিশিষ্ট ছাত্রী নিবাস, ১০০ সিট বিশিষ্ট ছাত্রাবাস ও ১০ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
২৬. সিলেটে একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
২৭. নগরীর কদমতলী এলাকায় প্রায় ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দ আধুনিক সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল।
২৮.স্মার্ট সিটি গঠনের লক্ষ্যে নগরীকে দৃশ্যমান তারবিহীন করার প্রকল্প চলমান রয়েছে।
২৯.নগরীর নিরাপত্তায় পুরো সিটি করপোরেশন এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতাধীন করার প্রকল্প চলমান রয়েছে।
৩০.ডিজিটালাইজেশনের আওতায় পুরো নগরীতে ফ্রি ওয়াইফাই কানেকশনের প্রকল্প চলমান রয়েছে।
৩১.রাত্রিকালীন সিলেট নগরীকে আলোকিত করতে ২৬ বর্গ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে এলইডি বাতি বসানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
৩২.নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে নগরীর কালাপাথর মাঠ সংরক্ষণ ও
সংস্কার করা হয়েছে।
৩৩.সিলেটের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নের লক্ষ্যে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটার স্টেডিয়ামকে অত্যাধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে।
৩৪. সিলেটকে ভবিষ্যতে যানজট মুক্ত রাখতে রিং রোড নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
৩৫.সিলেটে একটি উন্নত আধুনিক হাউজিং এস্টেট স্থাপনের প্রকল্প শীঘ্রই হাতে নেয়া হচ্ছে।
পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন সিলেটের উন্নয়নে এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা খুবই জরুরী। তাই এর ধারাবাহিকতা রক্ষায় ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে পুনরায় সিলেট ১ আসনে বিজয়ী করা এখন সময়ের দাবী।