দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় মিশরে হানিয়াহ
দৈনিকসিলেটডেস্ক
মঙ্গলবারও গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রায় ১০০ জন নিহত হয়েছেন। এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, উত্তর গাজায় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা।
তাদের দাবি ওই এলাকায় হামাসকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হয়েছে। কিন্তু হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্ত করতে কোনো সফলতা দেখাতে পারছে না তারা। এ জন্যই বুঝি ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ বলছেন, তার দেশ জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে দ্বিতীয় দফায় মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত।
গাজায় দ্বিতীয় দফায় মানবিক যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি কতটুকু সাফল্যের মুখ দেখবে তার নিশ্চয়তা না থাকলেও দ্বিতীয় দফার মানবিক যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি বিনিময় প্রসঙ্গে আলোচনা করতে কাতার থেকে মিশরে পৌঁছেছেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ।
যুদ্ধবিরতি বিষয়ে আলোচনা করতে হামাসের একটি উচ্চপর্যায়ে প্রতিনিধিদল তার সঙ্গে যোগ দেবে। এছাড়া মিশরের গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান আব্বাস কামেলের সঙ্গেও দেখা করবেন হানিয়া।
এবারের বৈঠকে ইসরায়েলে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তি, গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলার অবসান এবং হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করবেন নেতারা। এছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তার বিষয়েও আলোচনা হবে ওই বৈঠকে।
এদিকে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম গুলো জানাচ্ছে হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলিদের মুক্ত করতে সোমবার ইউরোপে ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান নির্বাহী ডেভিড বার্নিয়া এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র পরিচালক বিল বার্নর্সের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আবদুলরহমান আল থানি।
এর আগে কাতারের মধ্যস্থতায় এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। সেই চুক্তির মাধ্যমে ৮০ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ২৪০ কারাবন্দি ফিলিস্তিনির মুক্তি নিশ্চিত করেছিল ওই স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।