ফেইসবুকে মানহানিকর পোস্টের প্রতিবাদে বিশ্বনাথে প্রতিবাদ সভা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুকে)ফেইক আইডি দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করার প্রতিবাদে বিশ্বনাথে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের পাহাড় পুরের হাজী তেরা মিয়ার বাড়িতে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এ প্রতিবাদ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও উত্তর বিশ্বনাথ দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজান এর সভাপতিত্বে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ফেইক আইডি থেকে অশালীন, মানহানিকর পোস্ট ও এলাকার সুনাম নষ্টে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত ও প্রতিহত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে এসময় বক্তব্য রাখেন বক্তারা। বক্তারা বলেন, উত্তর বিশ্বনাথ দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শামীম আহমদ ও তার পরিবারকে নিয়ে যারা ষড়যন্ত্রমুলক পোস্ট করে শান্তিপ্রিয় এলাকায় অশান্ত পরিবেশ তৈরির পায়তারা করছে তাদের কে চিহ্নিত করতে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে যা যা করার তা আমরা করে যাব। স্কুল কমিটির ভুমিকা ও এমন ন্যাক্কারজনক কাজের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ না করায় উপস্থিত অনেকে সমালোচনা ও তীব্র নিন্দা জানান। আগামী ১ জানুয়ারী ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্তে কি ফলাফল আসে সেটা পর্যবেক্ষণ সহ করণীয় নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন উপস্থিত এলাকাবাসী।
এসময় বক্তারা স্কুল কমিটিকে এলাকার পক্ষে সার্বিক সহযোগিতা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি স্কুলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার মত ষড়যন্ত্রকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রদক্ষেপ নিতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান। প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহনকারি বক্তারা অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। উল্লেখ্য: যাকে ঘিরে ঘটনার সুত্রপাত সেই শামীম আহমদের দাদা, বাবার শ্রম আর ঘাম মিশানো উত্তর বিশ্বনাথ উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দাদা শহর উল্লাহর বাড়িতে প্রাথমিকভাবে ১৯৭২ সালে উত্তর বিশ্বনাথ জুনিয়র হাইস্কুল নামে শিক্ষাঙ্গনটির সূচনা ঘটে! ম্যানেজিং কমিটিতে ছিলেন বাবা ও চাচা। এখন সেই কমিটিতে গণতান্ত্রিক নিয়মে নির্বাচিত হয়ে স্থান করেছেন হাজী তেরা মিয়ার ছেলে শামীম আহমদ। কিন্তু এতে ক্ষুব্ধ কুচক্রি মহল। একটি পক্ষ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না বিদ্যায়লের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত ওই সদস্যকে। তারা প্রকাশ্যে বিরোধীতা না করলেও সেই সদস্যের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালাচ্ছে নানা অপপ্রচার।
অপপ্রচারে বিভ্রান্ত ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্বজনেরা। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে এলাকাবাসী এই প্রতিবাদ করেছেন। বিষয়টি ইতিমধ্যে স্যোসাল মিডিয়া ও পত্র পত্রিকায় গড়িয়েছে। সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন অত্র এলাকার বিশিষ্ট সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, গবেষক, ইসলামি স্কলার মাওঃ আব্দুল হাই জিহাদি, বিশিষ্ট মুরব্বি আরফান আলী, লিয়াকত আলী, মো: ইরন মিয়া, মোঃ সামছু উদ্দিন কালা, শিমুল কুমরা দাস, খালেদুর রহমান লাকি। আপ্তাব আলী, মাজিদ উদ্দিন, স্কুল অভিভাবক সদস্য মানিক মিয়া, শাহ সিদ্দিকুর রহমান চিশতি, রেজওয়ান আহমদ। আরো উপস্থিত ছিলেন, শাকের মিয়া, আজিজুল ইসলাম, আকিক মিয়া, লাহিন নাহিয়ান, তছির আলী, আলী আহমদ, আব্দুল হালিম, শাহজাহান আহমদ, তুহিন আহমদ, আব্দুল কাইয়ুম, শানুর আলী, তাহির আলী, শেখ মুরাদ, কয়েছ মিয়া, আল মামুন, হাসান উল্লাহ, আব্দুল গফুর, আসকির আলী, ইমাদ আহমদ, বিলাল আহমদ, তুহিন আহমদ, বাবুল আহমদ, ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যগণ যুব সমাজ সহ এলাকাবাসী প্রমুখ।