মন্ত্রীর জনসভায় আ.লীগ নেতাকে ইউপি চেয়ারম্যানের মারধর
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
সিলেট-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের নির্বাচনী জনসভা সঞ্চালনার সময় ভুল নাম উপস্থাপন করায় অখিল চন্দ্র বিশ্বাস নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করেছেন অপর আওয়ামী লীগ নেতা এবং ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়া।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার থানা সদর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সভামঞ্চে বসা ছিলেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
মারধরের শিকার অখিল চন্দ্র বিশ্বাস উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আর মারধরকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও তেলিখাল ইউপির চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়া।
সভায় উপস্থিত সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান মারামারি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ঝামেলাটা হইছে নাম নিয়া। ঘটনার সময় একটু ধাক্কাধাক্কি হইছে। পরে অনুষ্ঠান হইছে। সমাধান হয়নি, পরে আমরা বসে এর সমাধান করবো।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার থানা সদর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সিলেট-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী ইমরান আহমদের সমর্থনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা চলছিল। এ সময় মিছিল সহকারে মাঠে প্রবেশ করেন কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়া। তখন সভামঞ্চে সঞ্চালনা করছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অখিল চন্দ্র বিশ্বাস। এসময় তিনি কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়ার ভুল নাম উচ্চারণ করায় ক্ষেপে যান আলফু মিয়া। তখন তিনি সভামঞ্চে উঠে অখিল চন্দ্র বিশ্বাসকে মেরে সভামঞ্চের নিচে ফেলে দেন। সেখানে তার সমর্থকগোষ্ঠীরাও অখিল চন্দ্র বিশ্বাসকে মারতে থাকেন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় অখিল চন্দ্র বিশ্বাসকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান উপস্থিত নেতা কর্মীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও তেলিখাল ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়া বলেন, ‘আমি মিছিল নিয়ে প্রোগ্রামে গেছি। আমার মিছিলরে তিনভাগে ভাগ করে নাম ধরে ধরে ডাকের অখিল বাবু। এরপরে আসন গ্রহণ করার সময় সবার নাম সুন্দর করে ডাকলেও আমার নাম ডাকে আব্দুল অদুদ আলফু আসন গ্রহণ করেন। অথচ আমি তেলিখাল ইউনিয়নের তিনবারের চেয়ারম্যান। ইতা একটা ক্রিটিসাইজ করা না নি আমারে নিয়া। সবার নাম ডাকে সাব, সাবেক সব বলে আর আমাকে শুধু আলফু মিয়া ডাকে। আমি বর্তমান থাকা অবস্থায় আমার নাম নাই। এটা তো উদ্দেশ্যমূলক আচরণ আমাকে নিয়ে। এরপরে ওততো আর হাতাহাতি হইছে। আমি ধাক্কা একটা মারছি আর মাইনষে টানিয়া নিয়া মারছইন।’
আর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অখিল চন্দ্র বিশ্বাসের বক্তব্যের জন্য একাধিকবার কল করলেও তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, ‘আমি প্রোগ্রামে ছিলাম না। এবিষয়ে জানি না। কিছু বলতে পারবো না বলেই ফোন কেটে দেন।