ফুসফুসের ক্যানসার সম্পর্কে যা যা জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন

দৈনিকসিলেটডেস্ক
আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ফুসফুস। বায়ু দূষণসহ নানা কারণে ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে। এ ছাড়া ঘন ঘন শ্বাসতন্ত্র সংক্রমণের ফলেও ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে।
ফুসফুসের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে হয় ক্যানসার। এই ক্যানসার ফুসফুসে থেকে শুরু হয়ে শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে যেতে পারে। এভাবে ছড়িয়ে পড়াকে বলে মেটাস্টেসিস। ঢাকায় ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি।
আবার এদের মধ্যে বেশির ভাগই আছেন, যারা ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত।
ধূমপানের কারণে ৮৫-৯০ শতাংশ মানুষ ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হন। কেবলই যে প্রত্যক্ষ ধূমপানে ক্ষতি হয়, তা কিন্তু নয়। পরোক্ষ ধূমপান অর্থাৎ ধূমপায়ীর সিগারেটের ধোঁয়ায় পাশে অবস্থান করা মানুষটিও স্বাস্থ্যঝুঁকির শিকার হন।
কারণ
১. দূষিত পরিবেশ
২. সিগারেটের ধোঁয়া
৩. অন্যান্য রাসায়নিকের ধোঁয়া
লক্ষণ
১. একটানা কাশি হওয়া, কাশির সময় বুকে ব্যথা।
২. কাশির সঙ্গে রক্ত।
৩. সামান্য পরিশ্রমে শ্বাসকষ্ট।
৪. মাথায় যন্ত্রণা।
৫. ক্লান্তি বোধ করা।
৬. কারণ ছাড়া ওজন কমে যাওয়া।
৭. কণ্ঠস্বর পরিবর্তন বা কণ্ঠস্বর ভেঙ্গে যাওয়া।
৮. খিদে কমে যাওয়া।
৯. সারাক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব।
১০. হাড় ব্যথা।
এ রকম উপসর্গ দেখা দিলে অনেকেই পাত্তা দেন না। কেবল মুখ দিয়ে রক্ত বের হলে, তবেই টনক নড়ে। তবে এ রকম উপসর্গ দেখা দিলে এবং নিজে ধূমপায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
করণীয়
১. যারা ধূমপান করেন, তাদের উচিত ধূমপান পরিহার করা।
২. পরোক্ষ ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
৩. ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান করুন।
৪. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন।
৫. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।
৬. কলকারখানার ধোঁয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করে চলুন।
৭. ক্যানসার প্রতিরোধে স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে সমস্যা নির্ণয় করুন।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল