দৃষ্টান্ত গড়লেন বঙ্গবন্ধুকন্যা
রাজু আহমেদ রমজান
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলায় ইতিহাসে বিরল এক দৃষ্টান্ত গড়লেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। টানা আটবারের মতো হয়েছেন সংসদ সদস্য। এরপর তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয়।
গত ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের মধ্যদিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম ওঠে বঙ্গবন্ধকন্যার। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন মহোদয়। শপথ গ্রহণের মধ্যদিয়ে টানা চারবার সব মিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন এবং দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পান জাতির জনকের জেষ্ঠ কন্যা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ হাসিনা। কেবলমাত্র উন্নয়নের রূপকার নয় তিনি বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী রাষ্ট্রনায়ক, বিশ্ব মানবতার মা।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে কাঁধে দায়িত্ব নেন আওয়ামী লীগের। গণতন্ত্রের সংগ্রামে পথ চলে হয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা। স্বৈরাচারকে উৎখাত করার আন্দোলনের পাশাপাশি প্রথম নির্বাচনে অংশ নেন ১৯৮৬ সালে তাঁর জন্মস্থান গোপালগঞ্জ–৩ আসন থেকে। প্রতিবার জয় লাভ করেন এই আসনে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অষ্টমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এ আসন থেকেই। এই নির্বাচনে জয়লাভের মধ্যদিয়ে দেশ পরিচালনায় অনন্য রেকর্ড গড়লেন বঙ্গকন্যা। টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আসছেন ২০০৮ সাল থেকে । ইতিপূর্বে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিশ বছর পর ১৯৯৬ সালে দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন গণতন্ত্রের এই মানসকন্যা। দেশের রাজনীতি নয়, বিশ্ব রাজনীতিরও আলোচিত ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
একাত্তরের প্রেক্ষাপট মনে রেখে, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রসংশিত হন গোটা দুনিয়াজুড়ে। তলাবিহীন ঝুড়ি বলা বাংলাদেশ আজ তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে যাচ্ছে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথে দেশকে দুনিয়াজুড়ে অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছেন তিনি। কারো সঙ্গে শত্রুতা নয় সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এই পররাষ্ট্রনীতিতে নানামুখী ভূরাজনীতির মেরুকরণেও অনড় রেখেছেন সরকারের অবস্থান। ফলে বারবার উঠে এসেছেন বিশ্বের প্রভাবশালী নারী নেতৃত্বের তালিকায়। উন্নয়নের রুপকার এই বিশ্বনেত্রীর উন্নয়ন গানে গানে উন্নয়ন প্রচারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ববর্তী গত ৩ ডিসেম্বর তাঁর জন্মস্থানে গিয়েছিলাম আমি এক সাধারণ নাগরিক।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে স্বশ্রদ্ধ সালাম দিয়ে পরবর্তীতে শেখ হাসিনা মহোদয়ের নির্বাচনী আসনের টুঙ্গিপাড়া এলাকার পাঠগাতী আওয়ামী লীগের পুরাতন অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে সভা করে “অভাবগ্রস্থ বাংলাদেশটা রোল মডেল হইয়া গেছে, শেষ হাসিনা উন্নয়ন করছেন হবে স্মার্ট বাংলা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা” সহ বিভিন্ন গান পরিবেশন করে প্রশংসিত হয়েছি। যা স্মৃতিতে অমলীন হয়ে থাকবে আমৃত্যু। আমার রচিত এই গান এখন নেট দুনিয়ায় ঘুরছে। গানটি নিম্নরুপ- অভাবগ্রস্ত বাংলাদেশটা রোল মডেল হইয়া গেছে শেখ হাসিনা উন্নয়ন করছেন। হবে স্মার্ট বাংলা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।
বিদ্যুৎ সেতু রাস্তায় উন্নয়ন স্বাস্হ শিক্ষা প্রসারে এখন স্মার্ট জনগন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা বঙ্গকন্যা গড়েছেন, শেখ হাসিনা উন্নয়ন করছেন। পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, ফ্লাইওভার পেয়ে খুশি জনগন আরও মেট্রোরেল। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট করে প্রযুক্তি বাড়িয়েছেন। বলে সাংবাদিক গীতিকার রাজু উন্নয়নে স্বাধীন বাংলার মাথা আজ উঁচু। ২০৪১ হবে বিশ্বের মডেল স্মার্ট বাংলা, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, হবে স্মার্ট বাংলা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলা। আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা ইস্যুত,লাখো প্রাণ বাঁচিয়ে হলেন মানবতার দূত। মানবতার মা হয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন, শেখ হাসিনা উন্নয়ন করছেন। ঐতিহাসিক ১০টি উন্নয়ন, বাস্তবায়নে বঙ্গকন্যা করেছিলেন পণ। জনগণের অধিকার আদায়ে তাহাজ্জুদে ডাকেন মাওলা। গড়ে তোলতে সোনার বাংলা। হবে স্মার্ট বাংলা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।
এছাড়া “নির্বাচনে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে,বাংলার জনগণ এবার জেগে ওঠেছে” আওয়ামী লীগের বিজয়ের গানসহ বঙ্গবন্ধু’কে নিয়ে লেখা আরও ২টি গান শীঘ্রই নেট দুনিয়ায় যোগ হবে বলে প্রত্যাশা করছি। সর্বোপরি বলবো-শতবছর নেকহায়াত নিয়ে বেঁচে থাকুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়। ভালো থাকুক প্রিয় জন্মভূমি। যতদিন আপনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।