প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
চুনারুঘাট প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পালের বিরুদ্ধে কাবিখা, কাবিটা, টিআরও, কর্মসৃজন, ব্রিজ-কালভার্টসহ বিভিন্ন প্রকল্প কাগজপত্রে ভুয়া মাস্টারুল তৈরি করে কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি ২০২৪) এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আব্দুল জাহির নামে স্থানীয় বাসিন্দা হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও দুদক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই কর্মকর্তা ৫ বছর আগে যোগদানের পর পর থেকেই এলাকায় একটি দুর্নীতির সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে শীতকালীন শীতবস্ত্র (কম্বল) অসহায় গ্রামঞ্চল, চা বাগানে না দিয়ে তার মনগড়া পছন্দের লোকজনদের দেওয়াসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ।শ্রমিকরা চটের ছালা গায়ে দিয়ে রাত্রিযাপনের দৃশ্য সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে চুনারুঘাটে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পিআইও প্লাবন পাল গত ৫ বছরে বিভিন্ন প্রকল্প খাতে হরিলুট করেছেন। তিনি ৪০ দিনের কর্মসিজনের কাজে প্রতি ইউনিয়ন থেকে ১০দিন করে মোট ১০০ দিনের কর্ম সিজনের কাজের টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতি কর্মসৃজনের মোট ৪০ লক্ষ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার বেপরোয়া লুটপাট নিয়ে কেউ কোন প্রশ্ন করলে প্রকাশ্যে গালাগালি, দুর্ব্যবহার করে থাকেন। গত বছর এই আলোচিত পিআইওর অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্থানীয় একজন ইউপি চেয়ারম্যান মৌখিক অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার হয়নি।উল্টো হ্যানস্তার শিকার হতে হয় তাকে। হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের সকল পর্যায়ের ইউপি চেয়্যারম্যানদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে ওইকর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, স্থানীয় আহম্মদাবাদ ইউনিয়নসহ উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় টাকার বিনিময়ে বিত্তবানদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। সরকারি ত্রাণ বিতরণে নয়ছয় ও আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি বরাদ্দের ত্রাণসামগ্রী তিনি নিজেই নামমাত্র বিতরণ দেখিয়ে ভুয়া বি ভাউচার বানিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের বাস্তবায়িত সব প্রকল্পের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ টাকাই ঘুষ নেন ওই কর্মকর্তা।
পিআইও প্লাবন পাল ওইসব অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান,যিনি অভিযোগ করেছে তারা মাঝে মাঝে আমার কাছে বিভিন্ন জিনিস আবদার করতো। তাদের চাহিদা না মেটানোয় তারা এ অভিযোগ করেছে।আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়।
অভিযোগকারী জাহির মিয়া বলেন,সমাজে যখন ঘুনে ধরে যারা কথা বলার প্রয়োজন তারা কথা বলে না সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলা অ্যাকশনে যায় না দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তখন আমাদের মত যুবসমাজকেই ঝুঁকি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে হয়।