জৈন্তাপুর উপজেলা হাসপাতাল ভাংচুর: আ ট ক ১
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
সিলেট জেলার জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাংচুর ও গাড়ি পোড়ানো মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারি (বুধবার) রাতে ১০:৩০ ঘটিকায় সিলেট জেলার জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই/সাহিদ মিয়া নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় জৈন্তা পূর্ব বাজার হতে জৈন্তাপুর মডেল থানার মামলা নং-০৯, তারিখ ২০/০১/২০২৪ ধারা ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩০৭/৪৩৬/৪২৭/৫০৬(২ এর প্রধান আসামী জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গৌরীশঙ্কর গ্রামের কবির আহমদের ছেলে হারুন আহমদ (১৯)-কে গ্রেফতার করেন। উক্ত আসামি মামলার ঘটনার ২০ জানুয়ারি তারিখে রাত ১২:৪৫ ঘটিকার সময় হাতে লাঠিসোটা নিয়ে প্রথমে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি জিপ গাড়ি ভাংচুর করে এবং পরে ভাংচুর শেষে উক্ত জিপ গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় যাহা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কয়েকজনকে চিহ্নিত করে পুলিশ। উক্ত আসামিকে অদ্য ২৫ জানুয়ারি সকালে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ যে, গত ১৯ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে জৈন্তাপুর উপজেলার ২নং লক্ষীপুর এলাকায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের আল ফালাহ মসজিদের পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি প্রাইভেটকার খাদে পানিতে পড়ে সিলেট জেলা ও জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের ৪ কর্মী গুরুতর আহত হয়। জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের জৈন্তাপুর উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসায় ইসিজি ও সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় উপস্থিত স্থানীয় উত্তেজিত জনতা হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়। পরে উত্তেজিত জনতা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ, ডাক্তার ও স্টাফ কোয়ার্টার, অ্যাম্বুলেন্স ও একটি সরকারি জিপ গাড়ি ভাংচুর করে। হঠাৎ গেরেজের ভিতরে একটি সরকারি জিপ গাড়িতে আগুন দেখা দিলে উপস্থিত জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের একজন সদস্য (উপ-পরিদর্শক) ৯৯৯ এ কল দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তার দুর্দান্ত সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিস হাসপাতালে পৌঁছে গাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম বলেন একজন কে আটক করা হয়েছে। এই মামলায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রকৃত আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।