কোম্পানীগঞ্জে নদীতীর রক্ষা বাঁধে অনিয়ম : আ ট ক-৪
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তেলিখাল এলাকায় নদীর তীর রক্ষার জিও ব্যাগ কেটে বালু ফেলে দেয়ার সময় আটক করা হয়েছে ৪ জন শ্রমিককে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু খালি জিও ব্যাগ ও দা জব্দ করা হয়।
বুধবার রাত ১১টার দিকে তেলিখালের ভাটিপাড়া এলাকা থেকে বালুভর্তি জিও ব্যাগ কেটে বালু ফেলার সময় শ্রমিকদেরকে স্থানীয়রা আটক করে। স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ ছিল। কয়েকদিন থেকে কাজ শুরু হয়েছে। প্রস্তুত জিও ব্যাগ দিনের বেলায় শ্রমিকরা নদীর তীরে ফেলছেন। কিন্তু বুধবার রাত ১১টার দিকে ১১ জন শ্রমিক মিলে বালুভর্তি জিও ব্যাগ কেটে বালু ফেলে দেওয়াকালে স্থানীয়রা তাদেরকে ডাকাত সন্দেহে আটক করে।
কুয়াশাজড়ানো গভীর রাতে একসাথে অনেক মানুষকে আবছা দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে তাদেরকে ডাকাত সন্দেহ করে ৪ জনকে আটক করে। আটককৃত ৪ জনকে আটক করার সময় জানা যায় তারা মোট ১১জন ছিলেন। এলাকাবাসীর উপস্থিতি ঠের পেয়ে ৭ জন পালিয়ে যায়৷ শ্রমিকরা দৌড়ে পালানোর সময় সুজন, বাহার আলী, সাত্তার ও আশরাফুল নামে চারজন শ্রমিককে আটক করা হয়।
শ্রমিকরা বলেন শ্রমিক সর্দার জাহিদের নেতৃত্বে তারা এ কাজ করে। পরে তাদেরকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফজলুর রহমানের কাছে সোপর্দ করেন। এলাকাবাসী বলেন তারা ইতিপূর্বে আরো অনেক ব্যাগ কেটে নদীতে ফেলে দিয়েছেন৷ স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফজলুর রহমান বলেন, খালি বস্তা ও দা-সহ গ্রামের বাসিন্দারা চারজন শ্রমিককে আমার কাছে সোপর্দ করেন। আমি বিষয়টি ঠিকাদার ও পাউবোর কর্মকর্তাদের জানিয়ে শ্রমিকদেরকে ছেড়ে দিয়েছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেলাল কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী নুরুল আমিন বলেন, শ্রমিকরা বালুভর্তি জিও ব্যাগ কেটে ফেলছেন বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমাকে জানিয়েছেন। কেন শ্রমিকরা একাজ করতে গেল তা আমার জানা নেই।
সিলেটের পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফকরুল আহমেদ বলেন, ঠিকাদার ভাল পড়ে নাই। খবর পেয়ে ঐ এলাকার ইউপি সদস্য ও ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি। সম্ভবত ১১টি ব্যাগ কেটে ফেলেছে, আমি ব্যাগগুলোতে পুনরায় বালুভর্তি করে দিতে বলেছি।