ড. সীমা হামিদের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র পেয়ে উচ্ছ্বসীত গুচ্ছগ্রামের শিক্ষার্থীরা
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি
ইয়ুথ গ্লোবাল ফাউন্ডেশন ও বাঁধন সোসাইটি অফ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও প্রধান পৃষ্টপোষক ড. সীমা হামিদের পক্ষ থেকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের গুচ্ছগ্রাম বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার হিসেবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার সকালে গুচ্ছগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে এসব শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
গুচ্ছগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. করিম মাহমুদ লিমনের সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা তাহসিনা আঞ্জুমান আলভীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মো. ইমরান হোসেন সুমন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাফলং বনবিট কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ফারুক আহমদ, বিদ্যালয়ের উপদেষ্টা ও বল্লাপুঞ্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান, গোয়াইনঘাট থানার এসআই এনামুল হক, এএসআই সাদ্দাম হোসেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান, পরিচালনা কমিটির মহিলা সদস্য নাছিমা বেগম, প্রধান শিক্ষিকা সালমা আক্তার প্রমুখ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বৃহত্তর জৈন্তা ইলেকট্রিক মিডিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি হুমায়ুন আহমদ, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক মিনহাজ মির্জা, সংবাদ কর্মী সালমান শাহ, রাসেল আহমদ ও সুহিন মাহমুদসহ অন্যান্যরা। মাঘ মাসের এই কনকনে শীতে এসব উপহার পেয়ে উচ্ছ্বসিত ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। পোষাক হাতে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রথম শ্রেণির হোসাইন, দ্বিতীয় শ্রেণির শাবনুর আক্তার, শাম্মী আক্তার, তৃতীয় শ্রেণির মরিয়ম, সোলেমান, আতিকা আক্তার, চতুর্থ শ্রেণির সুমাইয়া ও মীম এবং পঞ্চম শ্রেণির তাসলিমাসহ অনেক শিক্ষার্থী।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া জানায়, আমার শীতের ভালো জামা ছিলোনা এতোদিন। পাতলা একটা সুইটারে শীত কাটাতাম। এখন নতুন জ্যাকেট পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সালমা আক্তার জানান, এই বিদ্যালয়টি এমনিতেই অবহেলিত। আমরা শিক্ষকরা এখানে বিনা বেতনে তাঁদের পাঠদান দেই।
বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা দরিদ্র পরিবারের।লেখাপড়া করানোর সামর্থই কারও নেই। শীতের ভালো কাপড় কেনা সকলের পক্ষে সম্ভব না। আজ ড. সীমা হামিদ ম্যাডামের শীতের উপহার পেয়ে শিক্ষার্থীদের মুখে হাঁসি ফুটেছে। খুব ভালো লাগছে সকলের মুখে হাঁসি দেখে। ড. সীমা হামিদ ম্যাডাম তাঁদেরকে শীতবস্ত্র দেয়ায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ওনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করছি।