সাকিব নৈপুণ্যে ঢাকাকে হারিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত রংপুরের
দৈনিকসিলেটডেস্ক
সাকিব আল হাসানের বল তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন তাসকিন আহমেদ। দুর্দান্ত ঢাকার সবচেয়ে সফল জুটি ভেঙেও খুব একটা উল্লাস দেখা গেলো না রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটারদের।
ততক্ষণে ম্যাচ যে পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে। অনায়াস জয়ে শীর্ষস্থান মজবুত হয়েছে দলটির
মঙ্গলবার বিপিএলের ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৬০ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান করে রংপুর। রান তাড়ায় নেমে ১১৫ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা। সাত ম্যাচের পাঁচটিতে জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে রয়েছে রংপুর। ৬ ম্যাচে কেবল এক জয় নিয়ে সবার শেষে ঢাকা।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে এদিন দারুণ শুরু পায় রংপুর রাইডার্স। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারেই তারা তোলে ৫০ রান। রনি তালুকদারের সঙ্গে বাবর আজমের উদ্বোধনে জুটিটি ভাঙে অষ্টম ওভারে এসে। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান রনি, আরাফাত সানির বলে তিনি এলবিডব্লিউ হওয়ার পর ভাঙে ৬৭ রানের জুটি।
অনেকদিন ধরে চোখের সমস্যায় ভোগা সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং নিয়ে ছিল নানা রকম অনিশ্চয়তা। কিন্তু ঢাকার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে কিছুটা হলেও ভালো দেখা গেছে তাকে। শুরুতে টাইমিংয়ে কিছুটা ঝামেলা হলেও পরে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। ২০ বলে ৩৪ রান করে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে দাঁড়ানো নাঈম শেখের কাছে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেক হোসেনের বলে। ওই ওভারের প্রথম বলে ৪৩ বলে ৪৭ রান করা বাবরকেও আউট করেছিলেন তিনি।
মাঝে এসে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত খেলা আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৭ বলে ৩ রান করে সাব্বির হোসেনের বলে তার হাতেই ক্যাচ দেন তিনি। রংপুরের ইনিংসের ইতি টানেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও মোহাম্মদ নবী। ১০ বলে ১ চার ও সমান ছক্কায় ১৬ রান করেন সোহান, ৩ ছক্কায় ১৬ বলে ২৯ রান করেন নবি। মাঝে কিছুটা ভুগলেও শেষ ওভারে ২০ রান এনে দিয়ে রংপুরের সংগ্রহকে বড় করেন তারা।
রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারে কেবল দুই রান পায় ঢাকা। পরের ওভারেই তারা হারিয়ে ফেলে অভিষিক্ত ওপেনার সাব্বির হোসেনের উইকেট। ৫ বলে ১ রান করা এই ব্যাটারের দুর্দান্ত ক্যাচ নেন শামীম হোসেন। মাহেদী হাসানের বলে স্লগ সুইপ করলে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ নেন শামীম। পরে তিনি বাউন্ডারির বাইরে গেলেও বল ভেতরে রাখেন।
উইকেট হারানোর ওই শুরুর পর কখনোই ম্যাচে ফিরতে পারেনি ঢাকা। হাসান মাহমুদ, সালমান ইরশাদ, মাহেদী হাসানের তোপের মুখে নাঈম শেখ ছাড়া আর কোনো টপ-অর্ডার ব্যাটারই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। ৩ চার ও সমান ছক্কায় ৩১ বলে ৪৪ রান করে আউট হন নাঈম।
এরপর অষ্টম উইকেটে গিয়ে ছোট একটা জুটি গড়েছিলেন তাসকিন আহমেদ ও ইরফান শুক্কুর। ১৩ বলে ২৭ রানের ওই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। তার বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ২ ছক্কায় ৮ বলে ১৫ রান করা তাসকিন। শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়া ইরফান ২৫ বলে ২১ রান করে রানআউট হন।
রংপুরের হয়ে দারুণ বল করেন সাকিব আল হাসান। ৪ ওভারে স্রেফ ১৬ রান খরচায় তিনি নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার করেন মাহেদি হাসান, সালমান ইরশাদ ও হাসান মাহমুদ।