বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্য : সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ নিক
মো. তৌহিদুল ইসলাম
প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরের মাঝে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়া পৃথিবীর বৃহত্তম এবং অর্থনৈতিকভাবে উন্নত কয়েকটি দেশের একটি। অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা আড়াই কোটির কিছু বেশি, যা আয়তনের তুলনায় খুবই কম। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ থেকে আগত বহু ভাষা ও সংস্কৃতির লোকের আবাসস্থল অস্ট্রেলিয়া। দেশটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের বিপুলসংখ্যক ছাত্র ও দক্ষ জনগোষ্ঠীরও গন্তব্যস্থল। গত বছরও বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার উদ্দেশে অস্ট্রেলিয়ায় গমন করে। দেশটিতে প্রায় এক লাখ প্রবাসী ও অভিবাসী বাংলাদেশি বসবাস করছে।
১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার সব রাজনৈতিক দলের মতৈক্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সূচনা হয়। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গফ হুইটলামের বাংলাদেশ সফর এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যে দৃঢ় ভিত্তি রচিত হয়েছিল, পরবর্তীকালে তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের পুনর্গঠন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা অব্যাহত থাকলেও তা বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোর তুলনায় ছিল নগণ্য। তবে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বর্তমানে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান। উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও সক্ষমতাকে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়েছে।
এখন বাংলাদেশ সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার উপলব্ধি এবং বাংলাদেশের প্রতি গুরুত্বের ধরন বদলেছে। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়া, বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়া এবং বিভিন্ন পেশায় দক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণেও বাংলাদেশের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার আগ্রহ ক্রমবর্ধমানভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উদীয়মান মধ্যম অর্থনীতির দেশ হিসাবে বাংলাদেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী। দুদেশের ব্যাপক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো যৌথভাবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে অধিক সম্পর্কযুক্ত হতে চেষ্টা করছে। দুদেশের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা যায়। যদিও বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্বের দ্বিপাক্ষিক সফর বিনিময়ের ঘাটতি রয়েছে।
২০২১ সালে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্ট (টিফা) দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ উন্মোচনে নবদিগন্তের সূচনা করেছে। আইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকলেও টিফা উভয় দেশ থেকে নতুন পণ্যের বাণিজ্যিক ক্ষেত্র সৃষ্টি এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। এতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি অত্যন্ত ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। ফলে দুদেশ একে অপরকে গুরুত্বপূর্ণ, নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার হিসাবে বিবেচনা করছে। টিফা ব্যাপক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি দুদেশের বাণিজ্য উদারীকরণ এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রবাহ বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির একটি প্লাটফর্ম হিসাবে কাজ করছে।
দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে টিফার অধীনে গঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের দুটি সভা যথাক্রমে ক্যানবেরা ও ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় এবং তৃতীয় সভা এ বছরের মে মাসে ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত হবে। টিফা কাঠামোর আওতায় গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মাধ্যমে দুদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম সভায়। গত বছরের জুলাই মাসে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী সিনেটর টিম আয়ার্স অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দীকীর সঙ্গে বৈঠককালে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
গত দশকে দুদেশের বাণিজ্য ৩০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় চার বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের জন্য অস্ট্রেলিয়ার মার্কেট হচ্ছে দশম রপ্তানি বাজার। ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। বর্তমানে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার ৩২তম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের জন্য অনেকটা নতুন বাণিজ্যিক অংশীদার হলেও তৈরি পোশাক আমদানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যসামগ্রীর প্রায় ৯৩ শতাংশই তৈরি পোশাক সামগ্রী। এ খাতে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ায় বছরে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার মার্কেটের প্রায় ১২ শতাংশ দখল করেছে। তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি পণ্য তালিকায় নতুন ও অধিক পণ্যের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে। দুদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধিও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
বাংলাদেশ হাইকমিশন ইতোমধ্যে বাংলাদেশি পণ্য অস্ট্রেলিয়ার কাছে তুলে ধরার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। হাইকমিশনের উদ্যোগে গত বছর সিডনি ও মেলবোর্নে দুটি বাণিজ্যমেলায় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। আগে প্রতিবছর সেদেশে এ ধরনের একটি বাণিজ্যমেলায় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করত। সিডনির মেলায় সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২২টি প্রতিষ্ঠান এবং মেলবোর্নের আয়োজনে ১৯টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এছাড়া হাইকমিশনের উদ্যোগে গত বছর বিজিএমইএ সভাপতির নেতৃত্বে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল অস্ট্রেলিয়া সফর করে এবং মেলবোর্নে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পবিষয়ক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
অস্ট্রেলিয়া থেকে কিছু পণ্য যেমন-তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, উল, গম ও ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বাংলাদেশের আমদানি করার সুযোগ রয়েছে। এতে অনেক মানসম্মত পণ্য পাওয়া যাবে। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউরোপীয় দেশগুলোর চেয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে কম সময়ে পণ্য আমদানি করা যাবে, খরচও কমবে। এতে বাংলাদেশ লাভবান হবে বলে আশা করা যায়। সমুদ্রবেষ্টিত দেশ অস্ট্রেলিয়ায় যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে বাণিজ্যিক ক্ষতির আশঙ্কা কম। দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কটন, উল, এলএনজি, অর্থনৈতিক প্রযুক্তি (Fintech), তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত সেবা (ITES) এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। উল ও কটন শিল্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে অস্ট্রেলিয়ার আগ্রহ রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে অস্ট্রেলিয়া যেমন বিনিয়োগ করতে পারে, তেমনি সেদেশের শিল্পজাত পণ্যের সরবরাহকারী দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে বিবেচনা করতে পারে। বাংলাদেশের ক্রমবর্মান শিক্ষা, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও জ্বালানি চাহিদা পূরণে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা গ্রহণ করা যেতে পারে। কৃষি ও অবকাঠামো উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বমানের দক্ষতা রয়েছে, যা থেকে বাংলাদেশও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারবে। বিশেষ করে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও হিমায়িতকরণের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা গ্রহণ করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এমওইউ থাকায় দুদেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। দুদেশের বিমান সংস্থাগুলো যে কোনো সময় সরাসরি বিমান চলাচলের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে দ্বৈত কর প্রত্যাহার এবং বিনিয়োগের সুরক্ষার মতো চুক্তির প্রয়োজনীয়তার বিষয়গুলো দুদেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়। এছাড়া দুদেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিনিময় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ঘটাতে পারে।
বাংলাদেশের শিক্ষার পাঠক্রমে অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত দেশের জনবলের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আধুনিকীকরণ, কারিগরি ও ইংরেজি শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধি করে অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত দেশগুলোয় পাঠানো যেতে পারে। যদিও অস্ট্রেলিয়ায় অদক্ষ বা স্বল্পদক্ষ জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ নেই, তবে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বমানের কারিগরি ও ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য দেশের জনসম্পদকে জনশক্তিতে রূপান্তর করা অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা ও সহযোগিতা বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশে অধিকসংখ্যক দক্ষ জনবল প্রেরণে সহায়ক হবে। এদিকে টিফার আওতায় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার বৃহত্তর বোঝাপড়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, দক্ষ জনশক্তি এবং জ্ঞান ও প্রযুক্তি বিনিময় বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে সেদেশের শিক্ষা প্রোফাইলে সম্প্রতি বাংলাদেশের আরও ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইতঃপূর্বে অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি মোট ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে প্রবেশাধিকারসহ গবেষণা ও শিক্ষা আদান-প্রদান সহজ হবে। এছাড়া বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয় প্রক্রিয়াধীন আছে। এতে দুদেশের মধ্যে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে চায়। এ প্রেক্ষাপটে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম প্রধান শক্তি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে মানব পাচার, মাদক পাচার ও অস্ত্র চোরাচালান ইত্যাদি সমস্যা মোকাবিলায়ও বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে এসব কর্মকাণ্ডের পরিসর আরও বাড়তে পারে।
মো. তৌহিদুল ইসলাম : কাউন্সেলর, বাংলাদেশ হাইকমিশন, অস্ট্রেলিয়া