বিয়ানীবাজারে প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে জনবল সংকট, বিপাকে খামার মালিকেরা
মিসবাহ উদ্দিন, বিয়ানীবাজার :
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রাণী হাসপাতালে জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। কর্মকর্তা, উপ-সহকারী কর্মকর্তাসহ পাঁচটি পদ শূন্য থাকায় ন্যূনতম সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলার প্রাণী ও খামার মালিকেরা।
গরু, ছাগল, মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রায় কয়েকশ’ত প্রাণীর মালিক। নিজের প্রিয় প্রাণীকে বাঁচাতে স্থানীয় হাতুড়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন তাঁরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, হাসপাতালে এক প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও সার্জন, তিন উপ-সহকারী কর্মকর্তা (মাঠ সম্প্রসারণ), এক উপ-সহকারী কর্মকর্তা (প্রাণী স্বাস্থ্য) রয়েছেন। এক এআই, এক প্রাণী মাঠ সহকারী (ভিএফএ), এক ডেসআর, এক অফিস সহকারী এক পিয়নসহ ১১ জনের জনবল থাকার কথা। কিন্তু বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে আছেন মাত্র ৫ জন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তালিকা অনুযায়ী, উপজেলায় গরু, ছাগল, ব্রয়লার মুরগি, এক লেয়ার মুরগি এবং সোনালি মুরগির খামার রয়েছে। এ ছাড়া তালিকার বাইরেও আরো প্রায় শতাধিক ছোট খামার রয়েছে। এসব খামারে প্রতিনিয়ত গরু, ছাগল, মুরগির রোগ দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন খামার মালিকেরা। কিন্তু তাঁরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল থেকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না।
মেওয়া এলাকার গরুর মালিক মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে চিকিৎসক না থাকায় কোনো সেবা পাওয়া যায় না। গরু-ছাগল অসুস্থ হলে এলাকার হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে হচ্ছে। এতে একদিকে ভালো চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না অপরদিকে বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে।
শ্রীধরা গ্রামের হাঁসের খামার মালিক জুবের আহমদ বলেন, অসুস্থতা দেখা দিলে দ্রুত সব হাঁস আক্রান্ত হয়। প্রাণী হাসপাতাল থেকে ওষুধ কিংবা পরামর্শ পাওয়া যায় না।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মুবিন হাই জানান, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় প্রাণী চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। আমরা লোকবল সংকটের কথা উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।