সহকারী অধ্যাপক হলেন চুনারুঘাট সরকারি কলেজের ৫ প্রভাষক
নুর উদ্দিন সুমন
প্রভাষক থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক হয়েছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট সরকারি কলেজের পাঁচ জন প্রভাষক। মঙ্গলবার (১৬ ফব্রুয়ারী) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুনারুঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: নবী হোসেন। পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকদের স্বাগত জানিয়েছে কলেজ প্রশাসন।
তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে চুনারুঘাট সরকারি কলেজের বিভিন্ন বিভাগের মোট ৫ জন প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ইতিহাস বিভাগের মো: রবিউল হোসেন। রসায়ন বিভাগের মো: আনিসুর রহমান, সদ্য বিদায়ী বাংলা বিভাগের মিহাদ আহমেদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মো: আহসানুল হক ও মোহাম্মদ ফরিদ মিয়া। কলেজ ছাত্র লীগের সহ-সভাপতি মো: সাজিদুর রহমান বলেন, শিক্ষক সহ আমরা সকলেই পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকদের কলেজে স্বাগত জানিয়েছি। প্রত্যাশা করছি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকগণ কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নতিতে আগের চেয়ে আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী ) বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের ৭১১ জন প্রভাষককে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিয়ে পদায়ন দেয়া হয়েছে। পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষকরা রয়েছেন। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ৩৩ তম বিসিএস ক্যাডার। তিনি ২০১৪ সালে চুনারুঘাট সরকারি কলেজে রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তারা ৪ ভাই ২ বোনের মধ্যে আনিসুর রহমান সবার ছোট। বিজ্ঞান মনস্ক এই কর্মকর্তা গ্রামের প্রাইমারি স্কুল থেকে প্রাথমিক পাঠ শেষ করে রসুলপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শেষ করেন। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন ময়মনসিংহের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের অন্যতম একটি ক্যান্ট পাবলিক কলেজ থেকে। এরপর প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে ১ম শ্রেণিতে ১ম স্থান অধিকার করে বিএসসি, এমএসসি শেষ করে বিসিএস এর মাধ্যমে শিক্ষা ক্যাডারে যোগদান করেন।
গবেষণা মনস্ক এই কর্মকর্তা এই পর্যন্ত বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক জার্নালে একাধিক লেখা প্রকাশ করেছেন। জাপানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুযোগও পেয়েছেন দুইবার। অপর শিক্ষক মো: রবিউল হোসেন তিনি একই ব্যাচ বিসিএস ৩৩ তম। তিনিও চুনারুঘাট সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগে ২০১৪ সালেই যোগদান করেন। ৪ ভাই ২বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। বড় ভাই ব্যবসা করেন। মেজো ও সেজো ভাই সরকারি চাকুরীজীবি। উনারা দুইজনই আরব আমিরাত পোস্ট বিভাগের হেড অফিসে হিসাব শাখায় কর্মরত। শতাব্দী প্রাচীন ময়ূরা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও কুমিল্লার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ইবনে তাইমিয়া কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। ইতিহাসের প্রতি আগ্রহ থেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রথম শ্রেণি পেয়ে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে বিসিএস এর মাধ্যমে শিক্ষা ক্যাডারে যোগদান করেন। ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন পুরস্কার প্রাপ্ত, উপজেলায় প্রাইমারি ও স্কুল পর্যায়ে পেয়েছেন একাধিক মেধাবৃত্তি। আবৃত্তি ও সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগ থেকে কাজ করেছে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, নন্দনকানন, সংবৃতা,কন্ঠশীলন সহ আরও বহু সংগঠনের সাথে৷ এ প্রাপ্তিতে তারা বলেন, কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নতিতে আমরা সবসময় আন্তরিক থাকবো।