তিউনিসিয়া উপকূলে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের আটজনই বাংলাদেশি
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
ভূমধ্যসাগর দিয়ে নৌকাযোগে ইউরোপ যাত্রাকালে তিউনিসীয় উপকূলে অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া নয়জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মধ্যে আটজনই বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস। বাকি একজন পাকিস্তানি নাগরিক।
লিবিয়ার স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দূতাবাসের একটি টিম তিউনিসিয়ার উপকূল এলাকায় বাংলাদেশিদের মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এ ঘটনায় ২৭ বাংলাদেশি নাগরিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে রাত সাড়ে ১১টায় (স্থানীয় সময়) লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্যরাত সাড়ে ৪টায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিল। এদের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন ছিল নৌকার চালক।
দুর্ঘটনার পর চালকসহ ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের ৮ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিসরের ৩ জন ও নৌকা চালক রয়েছেন (মিশরীয় নাগরিক)। ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে দূতাবাস তিউনিসিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং আইওএমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাস সংস্থার তথ্যমতে বিভিন্ন দেশের উপকূল হতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ গমনের চেষ্টাকালে ২০২৩ সালে তিন হাজারেরও বেশি অভিবাসী মৃত্যুবরণ এবং নিখোঁজ হয়েছেন। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী তাদের নজরদারি জোরদার করেছে। ফলে বর্তমানে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাত্রা অত্যন্ত বিপদজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ।