বিশ্বনাথে আতাপুর গ্রামে কীর্ত্তন হইতে ফেরার পথে বৃদ্ধ খুন: গ্রেফতার ২
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :
সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার সমশপুর গ্রাম থেকে ফেরার পথে আতাপুর গ্রামের পাশ্বেবর্তী এলাকায় জনৈক দাশ সুরেন্দ্রকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে গত ০৬/১১/২০১৭ইং তারিখে মারা যান।
আমাদের প্রতিবেদক আরও জানায় যে, সংখ্যালঘু হিসাবে এলাকার মৌলবাদিরা পূর্বে শত্রুতার জের ধরে দাশ সুরেন্দ্রকে হত্যা করেছে মর্মে তাহার পুত্র দাশ সমীরন ধারনা করেছেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সমশপুর গ্রামে এক গীতা পাঠের অনুষ্টানে অংশগ্রহন করার জন্য দাশ সুরেন্দ্র বাড়ি থেকে বাহির হইয়া গেলে বাড়িতে ফিরতে দেরি দেখিয়া তার পুত্র দাশ সমীরন তার বাবার সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করিলে তার ফোন নাম্বার বন্ধ পান। এক পর্যায়ে তিনি তার বাবার সাথে যোগাযোগ করিতে না পরিয়া আশপাশের লোকজন নিয়া রাত্রি ৮.৩০ ঘটিকায় সময় আশপাশের এলাকায় খোঁজতে বাহির হইলে তাকে না পাইয়া সমশপুর গ্রামের দিকে খোঁজার জন্য রওয়ানা দিলে আতাপুর গ্রামের রাস্থার পার্শ্বে দাশ সুরেন্দ্র কে পড়ে থাকতে দেখিয়া তারা থাকে রক্তাত অবস্থায় উদ্ধার করেন । তখন নগেন্দ্র পুরকায়স্থ জানায় যে, দাশ সুরেনদ্র কে যখন আমার রক্তাত অবস্থায় উদ্ধার করি তখনও তার জ্ঞান ছিল তিনি পানির জন্য আহাজারী করছিলেন, তখন তিনি পাশের জলাশয় হইতে পানি আনিয়া দেন।
এক পর্যায়ে দাশ সুরেন্দ্র জানায় যে, তিনি কীর্তন হইতে বাড়ি ফেরার পথে আরমান আলী ও মনাফ মিয়া তাকে গাড়ি হইতে নামাইয়া মারদর করে এখানে ফালাই রাখিয়া চলিয়া যায়।পরবর্তীতে থাকে তারা একটি সিএনজি গাড়ি দিয়া স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ কম্পেলেক্সে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা আশংকাজনক দেখিয়া সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তখন সাথে সাথে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দাশ সুরেন্দ্রকে মৃত ঘোষনা করেন। স্বানীয় এলাকাবাসী ও তাহার পরিবারের দাবী দাশ সুরেন্দ্র একজন সনাতন ধর্মালম্বি লোক ছিলেন। আরমান আলী ও মনাফ মিয়া এলাকার মৌলবাদী লোক হওযায় তারা সংখ্যালঘু হিসাবে দাশ সুরেনদ্রকে কয়েক মাস পূর্বে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। সেই সূত্রে তাহারা তাকে রাতের অন্ধকারে খুন করে।পরবর্তীতে দাশ সমীরন বাদী হইয়া বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দাশ সুরেন্দ্র কে এলাকায় ভাল লোক হিসাবে সর্বজন বিদিত।