বিয়ানীবাজারের ইউএনও বদলি গুরত্বপূর্ণ দপ্তরে পদ শুন্য
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি
কর্মকর্তাদের বদলী ও শূণ্যপদে নিয়োগ না হওয়ায় সেবামুলক নানা কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। জনবল সংকটে ভূগছে বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসন। কবে এসব শূণ্যপদ পূরণ হবে তার নিশ্চয়তা নেই কারো কাছে। শূণ্যপদের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর অবগত থাকলেও দীর্ঘদিনেও নিয়োগ হচ্ছেনা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে। ফলে কাংখিত সেবা থেকে থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলাবাসী।
এদিকে সম্প্রতি বিয়ানীবাজারের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: আয়েশা আক্তারকেও বদলি করা হয়েছে। তার পদে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (সিনিয়র সহকারী কমিশনার, রাজস্ব শাখা, ভূমি অধিগ্রহণ শাখা, অর্পিত সম্পত্তি সেল) কাজী শামীম-কে পদায়ন করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তিনি দায়িত্ব নিতে পারেন বলে জানা গেছে।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে শূণ্যপদে নিয়োগ না হলে স্থানীয় প্রশাসনকে নাজুক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, বিয়ানীবাজার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি), উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, খাদ্য কর্মকর্তা, উপজেলা হিসাবরক্ষক, পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বন কর্মকর্তা, ভূমি কানুনগোসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিভাগের প্রধানের পদ শূণ্য। সম্প্রতি শূণ্য থাকা উপজেলা প্রকৌশলীর পদে একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দিপক কুমার দাস নামের ওই কর্মকর্তার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলায়।
এছাড়াও প্রশাসনের অন্যান্য দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে অন্তত: শতাধিক পদ শূণ্য রয়েছে। শূন্য পদ পূরণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হলেও তাতে কোন কাজ হচ্ছেনা। থানা পুলিশে অফিসার ইনচার্জসহ ৩ জন পরিদর্শক দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও সাব-ইন্সপেক্টর, সহকারি সাব-ইন্সপেক্টর এবং কনস্টেবল সংকট রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন বিভাগের অন্তত: ৬টি চিকিৎসকের পদ খালি। বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজেও শিক্ষক সংকট প্রকট। উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার নিয়োগ দেয়া হলেও তিনি আসেন সপ্তাহে মাত্র ২দিন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা আক্তার (চলতি দায়িত্বে) বলেন, প্রশাসনের শূন্যপদে নিয়োগ দেয়া অতিব জরুরী। কাজে গতি আনতে হলে এর কোন বিকল্প নেই। খুব দ্রুত শুন্য পদে নিয়োগ দেয়া হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।