শাবিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে হলে ঢুকতে দেয়নি প্রভোস্ট, চটেছেন ছাত্রলীগ

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
গুচ্ছের ২০২৩-২৪ সেশনের খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ (৩ মে) । এর আগের দিন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে একজন আবাসিক ছাত্রীর কাছে থাকার জায়গার সমস্যার কথা জানান একজন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থী। হলের আবাসিক এই শিক্ষার্থী ভর্তিচ্ছুকে শিক্ষার্থীকে হলে প্রবেশ করতে গেলে বাধা দেন হল কর্তৃপক্ষ। এই ভর্তিচ্ছুকে হলে ঢুকতে না দিয়ে বরং দেড় ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) রাত ১০টার দিক এ ঘটনার ঘটে বলে জানান শাবি ছাত্রলীগ।
হলের আবসিক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আফসারা তাসনিম ঈশিতা বলেন, গতকাল হবিগঞ্জ থেকে আমার একজন গেস্ট এসেছিল, খ’ ইউনিটে গুচ্ছ ভর্তি পরিক্ষা দিতে। সে অনেক জার্নি করে আসায় ক্লান্ত ছিল। তাকে নিয়ে ভেতরে যেতে চাইলে গার্ড মামারা বাধা দেয়। আপাতত তাকে ভেতরে নিয়ে যায়, পরে হল প্রশাসনের সাথে কথা বলে নিব বলি। কিন্তু উনারা বলেন ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবেনা, এমন নিয়ম নেই। পরে বিষয়টি নিয়ে হল সুপারের সাথে কথা বললে তিনিও একই কথা বলেন।
ঈশিতা আরো বলেন, সে জার্নি করতে অভ্যস্ত না থাকায় সমস্যা হয়েছিল। তার জন্য এটা অনেক পেইনফুল, সে তো মানসিক ভাবে চাপ পেয়েছে। একজন সিনিয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব কোনোভাবে তার থাকার ব্যবস্থা করা। এ বিষয়ে আমি আমার সিনিয়র ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি, পরে অন্য হল থেকে একজন সিনিয়র এসে তাকে সেখানে নিয়ে যান।
ছাত্রলীগের অভিযোগ, পরীক্ষার্থীর সমস্যা বিবেচনায় আবাসিক হলে তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু তাকে ঢুকতে না দিয়ে দেড়ঘণ্টার মত হল গেইটে দাঁড়িয়ে রাখা হয়েছিল। যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা আমাদের মত আাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য হয়রানির।
এদিকে, গত ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়া এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাইরের ওই হলে ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীকে থাকতে দিয়েছেন বলে অভিযোগে করেন ঈশিতা।
পরে ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা হলে থাকার ব্যবস্থা করার হয় বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে শাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিবুর রহমান বলেন, একজন শিক্ষার্থী আমাকে বিষয়টি জানালে আমি হল প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু হল প্রভোস্ট সমস্যার কথা বিবেচনা না করে বরং নিয়মের দোহাই দিয়ে পরীক্ষার্থীকে দেড় ঘণ্টার মত দাঁড় করে রেখেছে৷ দীর্ঘ জার্নি করে আসা ওই ভর্তিচ্ছু ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন।
আমি শিক্ষার্থীর সমস্যার কথা জানার পর একজন ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সেই বিষয়টি সমাধানের জন্য একাধিক মাধ্যমকে অবহিত করেছি। তবে হল প্রভোস্ট বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে বরং প্রতিবারই প্রত্যাখান করে গেছেন। সমস্যা যে কারও (ভর্তিচ্ছু) থাকতে পারে; তাই বলে হলে থাকতে কেন দিবে না? সেটাই আমার প্রশ্ন।
এ বিষয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ বলেন, অভিযোগগুলো সত্য নয়। হলটি পাহাড়ঘেষা হওয়াতে আমরা সবসময় সিকিউরিটি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন থাকি । সেজন্য বাইরের কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়না। যা হলের নিয়মগুলোর মধ্যে লেখাও রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাইরের কাউকেই এ পর্যন্ত থাকার অনুমতি দেয়নি। আর এ ইউনিটের পরীক্ষার সময় বাইরের একজনকে থাকতে দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে প্রমাণ থাকলে দিতে বলব৷