বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: প্রধান বিচারপতি
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
দৈনিকসিলেটডেস্ক
শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষনা কেন্দ্রের গেস্ট হাউসে বর্মা ছড়ার খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুই বোন ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটা সঙ্গে তাদের ভাষায় কথা শুনেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ছবি: আমাদের সময়
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। যেকোনো মূল্যে খারিয়া সম্প্রদায়ের মাতৃভাষা (পার্সী) ভাষাকে রক্ষা করতে হবে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের গেস্ট হাউসে খারিয়া জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে দেখা করেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তখন তিনি খারিয়া জাতি গোষ্ঠীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন এবং তাদের ভাষা শোনেন। এসময় শ্রীমঙ্গল বর্মা ছড়ার খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুই বোন ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটা তাদরে ভাষায় বলেন এবং তাদের সম্প্রদায়ের ওপর একজন জহরলাল ইন্দোয়ার তা বাংলায় বর্ণনা করেন।
ভাষা বৈচিত্রের দেশ আমাদের বাংলাদেশ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘গণমাধ্যমের সূত্রে জেনেছি, খারিয়া সম্প্রদায়ের দুইজন লোকই বেঁচে আছেন যারা তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারেন। তারা মারা গেলে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে এই ভাষা। বিষয়টি আমাকে ভাবিয়েছে। এজন্য নিজ উদ্যোগে তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আমি আশ্বস্ত হয়েছি, শুধু দুইজন নয় এই ভাষায় কথা বলতে পারেন আরও কয়েকজন। খারিয়া জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই তিন হাজার মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করছেন।’
এই ভাষাটি রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজনীতা উপলব্ধি করে প্রধান বিচারপতি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবির, জেলা পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তালেব ও শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়।
এর আগে, প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের আবিস্কৃত চায়ের জাত ও তৈরি চায়ের গুনগত মান যাচাই করেন। এ সময় তিনি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চায়ের গুনগত মান ধরে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।