সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়ে এক ব্যক্তি জানতে পারেন তিনি মৃত। এ ঘটনায় আজ সোমবার উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে নিজে জীবিত থাকার বিষয়টি লিখিত আবেদনের জন্য যান তিনি।
ভুক্তভোগী মঈন উদ্দিন (৩৮) জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলিদপুর ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি রং মিস্ত্রি।
মঈন উদ্দিন বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমার বড় মেয়েকে স্কুল ভর্তি করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেই। পরে শিক্ষাকরা জানান, আমার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনলাইনে পাওয়া যায়নি। অনলাইনে মৃত দেখাচ্ছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবেদন করেছি।’
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, ওই রং মিস্ত্রি এসে লিখিত আবেদন করে গেছেন। তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র সার্চ করে দেখি মৃত দেখাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। রঙের কাজ করায় ওনার হাতের আঙুলের দাগ মুছে গেছে। তাই ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া যায়নি। ফলে কিছুটা সময় লাগবে। এ ধরনের সমস্যা নিয়ে লোকজন অফিসে আসলেই তা দ্রুত ঠিক করে দেওয়া হয়।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওই নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, ‘সাধারণত ভোটার হালনাগাদের সময় যারা মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করেন, মূলত তারাই ভুলবশত এ কাজ করে থাকেন।’